পুলিশ হেফাজতে গোপাল ও খোকন। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল কর্মী বসুদেব মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার গোপাল দাস মণ্ডল এবং খোকন খুটিয়া নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার ধৃতদের তমলুক মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী সূত্রের খবর, এ দিন পুলিশ ধৃতদের ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। শুনানির পরে বিচারক ১০ দিনের বদলে আট দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন ও খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গত সোমবার সকালে তমলুকের হাকোলা গ্রামে মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে আন্ধারিয়া গ্রামে রাস্তায় খুন বরুণার বাসিন্দা বসুদেব। বাকচার চান্দিবেনিয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপালকে বাড়িতে রেখে দিয়ে তিনি বরুণার বাড়িতে ফিরছিলেন। পথেই বসুদেবকে বিজেপির লোকজন কুপিয়ে মেরেছিল বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব ও নিহতের পরিজন। বসুদেবের স্ত্রী খুকুমণি বিজেপির স্থানীয় নেতা অলক বেরা- সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ময়নায় থানায় অভিযোগ করেন। খুনের পরে গোপাল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
পুলিশ পরে ভগবানপুর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গোপাল ও খোকনকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশের দাবি, ধৃত গোপাল ও খোকন জেরায় বসুদেবকে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ কারণ হিসাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে তুলে ধরেছে বলে পুলিশের দাবি। এ দিকে, তৃণমূলও প্রথম থেকে দাবি করেছিল, বিজেপি ওই ঘটনায় জড়িত। ময়না ব্লক তৃণমূল তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘ধৃতেরা বিজেপির সমর্থক। গোপাল জল প্রকল্পের পাইপ লাইনের মিস্ত্রির কাজ করে। মেয়ের বাড়িতে জলের পাইপ লাইনের কাজের জন্য বসুদেব তাঁর সঙ্গে গোপালকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পথে বিজেপির লোকজন গোপালের সাহায্যে বসুদেবকে নৃশংসভাবে খুন করেছে।’’
যদিও বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েকের বক্তব্য, ‘‘তোলাবাজির টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের কোন্দলের জেরেই বসুদেব খুন হয়েছেন, এটা এলাকারও বাসিন্দারা জানেন। ধৃত গোপাল ও খোকন তৃণমূলের কর্মী। ওদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
খুনের পরে বাকচা এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে। এ দিন আবার পুজোর ছুটির পর বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস খুলেছে। পঞ্চায়েত অফিসেও পুলিশ পিকেট রয়েছে। পঞ্চায়েতের কর্মীরা অফিসে হাজির হলেও তৃণমূল প্রধান, উপ-প্রধান কেউ অফিসে যাননি। খুনের ঘটনার জেরে ফের ওই পঞ্চায়েত অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রধান শুকলাল মণ্ডল বলেন, ‘‘বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে রাস্তায় বসুদেবকে কুপিয়ে খুন করেছে। এলাকায় আতঙ্কের রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই পঞ্চায়েত অফিসে যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy