Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

নিয়ম এড়িয়ে জলাশয়েই বিসর্জন

নদী, পুকুরে বিসর্জনে বাড়ছে দূষণ। সচেতনতা সীমিত সামান্য অংশেই। ঘুরে দেখল আনন্দবাজার।জেলা সদরের জলাশয়গুলিতে দূষণ রুখতে দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য শঙ্করআড়া খালের ষোলফুকার গেটে বিসর্জনের স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল তমলুক পুরসভা।

তমলুকের ধারিন্দা শিব মন্দির সংলগ্ন পুকুরে ভাসছে কাঠামো।

তমলুকের ধারিন্দা শিব মন্দির সংলগ্ন পুকুরে ভাসছে কাঠামো।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

কোথাও ভাসছে প্রতিমার কাঠামো। আবার কোথাও ভাসছে প্লাস্টিক ও ফুলের মালা। বিজয়া দশমীর তিন দিন পরেও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন পুরসভার জলাশয়ের ঘাটে ওই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। ব্যতিক্রম নয় জেলা সদর তমলুকও।

জেলা সদরের জলাশয়গুলিতে দূষণ রুখতে দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য শঙ্করআড়া খালের ষোলফুকার গেটে বিসর্জনের স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল তমলুক পুরসভা। কিন্তু একাংশ পুজো উদ্যোক্তা তা অমান্য করে জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তার ফলে নোংরা হচ্ছে পুকুরের জল এবং আশেপাশের এলাকা।

তমলুকের আবাসবাড়িতে বানপুকুরের ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে প্রতিমার প্লাস্টিক-জরির মালা ও পুজোর অন্য সামগ্রী জলে ভাসছে। কলা গাছের খোল, থার্মোকলের বাক্সও রয়েছে সেখানে। জলাশয়ের পাশে তুলে রাখা হয়েছে প্রতিমার কাঠামো। ঘাটে জল নিতে আসা অন্নপূর্ণা মাইতি বলেন, ‘‘এখানে দুটি পুজার বিসর্জন হয়েছে। বিসর্জনের পর বাঁশ-খড়ের কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলা হলেও পুজোর সামগ্রী তোলা হয়নি। নোংরা জলই ব্যবহার করতে হচ্ছে।’’ শহরের ধারিন্দা শিব মন্দিরের সংলগ্ন জলাশয়ের ঘাটেও এখনও প্রতিমার কাঠামো ভাসছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েকটি পুজা কমিটি প্রতিমা বিসর্জনের পর অধিকাংশ কাঠামো সরিয়ে নিয়েছে গিয়েছে। তবে কিছু কাঠামো থেকেই গিয়েছে।

তমলুক পুরসভার অধীনে থাকা শহরের রামসাগর জলাশয় সংস্কার সহ সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। সেই জলাশয়ে এ বছর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া না হলেও জলাশয়ের ঘাটে বাড়ির আবর্জনা, থার্মোকলের জঞ্জাল ভাসছে। পুরো জলাশয় শেওলায় ঢেকে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দা দেবাশিস সেনের আক্ষেপ, ‘‘জলাশয় সংস্কার করা হলেও একাংশ বাসিন্দা বাড়ির জঞ্জাল এখানে ফেলেন।’’

জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন প্রসঙ্গে তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘আগাম নিষেধ সত্ত্বেও যে সব পুজো কমিটি জলাশয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে, তাদের নোটিস দেওয়া হবে।’’

হলদিয়ায় হলদি নদীর দু’টি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখান থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে পুরসভা অফিসের উল্টোদিকে সুভাষ সরোবরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে ওই সরোবরের জলে প্রতিমার কাঠামো ভাসতে দেখা গিয়েছে। পুরসভা কর্তৃপক্ষের অবশ্য এ ব্যাপারে সাফাই, বৃহস্পতিবার রাতে কোনও গৃহস্থ বাড়ি সেখানে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে। তবে ওই কাঠামো সরানো হবে।

এগরা পুরসভা এলাকায় প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পুরসভার তরফে বোস পুকুর এবং কৃষ্ণসাগর নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, বুধবার পর্যন্ত ওই দু’টি পুকুরে যে সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে সেগুলির কাঠামো পুকুর থেকে তুলে ফেলেছেন পুর কর্মীরা। স্থানীয়দের অবশ্য অভিযোগ, প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলা হলেও তা পুকুরের পাশেই রাস্তাতে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরসভার সাফাই, শুক্রবার এবং শনিবার কয়েকটি প্রতিমা বিসর্জন হবে। তার পরেই সমস্ত কাঠামো পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2019 Immersion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy