—ফাইল চিত্র
সভার জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে রেল। অথচ এখনও সভা করার সম্মতি দেয়নি প্রশাসন। তবে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শনিবার, রামনগরে দলের সভার আয়োজন শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।
শনিবার বিকেলে রামনগর রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে বিজেপির সভা। সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা উপস্থিত থাকবেন। দিন দুয়েক আগেই সভার অনুমতি চেয়ে সহযোগিতা করার জন্য প্রশাসনের কাছে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)এবং পুলিশ সুপারের কাছে এই তথ্য পাঠানো হয়েছে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে।
আনলক পর্বেও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তবু বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক কর্মসূচি জেলা জুড়ে দেদার চলছে। শাসক দলের ক্ষেত্রে অনুমতি দিলেও তাদের কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়াক পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বেআইনি জমায়েত করার মামলা রুজু করা হচ্ছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। শুক্রবার রামনগর স্টেশন সংলগ্ন জমিতে বিজেপির শনিবারের সভা করার সম্মতি দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সভায় আসা দলীয়-কর্মীদের পানীয় জল সরবরাহ করা হবে বলেও রেলের তরফে জানানো হয়েছে। আগে রামনগর আরএসএ ময়দান এবং তারপর বালিসাই খেলার মাঠে সভা করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দু’জায়গাতে সভার অনুমতি দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিজেপির অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) বিদিত রাজ ভুনদেশ বলেন, ‘‘শনিবার সভার ব্যাপারে শুধুমাত্র তথ্য জানিয়েছে বিজেপি। সভা করার অনুমতি চাইলে প্রয়োজনীয় সবকিছু খতিয়ে দেখে নিশ্চয়ই অনুমতি দেওয়া হত। এক্ষেত্রে সরকারি বিধি মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘লকডাউন উঠে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে জমায়েত করা সত্ত্বেও সাতটি মামলা করেছে পুলিশ। অথচ বিভিন্ন এলাকায় শাসক দলের পক্ষ থেকে এবং শাসক দলের নেতারা অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে ব্যাপক জমায়েত করছে। ওই সব কর্মসূচির প্রশাসনিক অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তাদের ক্ষেত্রে নীরব প্রশাসন।’’
প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া সভা করা কিংবা জমায়েতের অভিযোগ স্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূলও।কাঁথি দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও তৃণমূল নেতা তরুণ জানা বলেন, ‘‘শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় সভা ও মিছিল করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে থাকি। বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র সভাস্থলের অনুমতি নিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য জানানো হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy