প্রতীকী চিত্র।
কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যানার, পোস্টার দেওয়ার ঘটনা চলছেই। মেচেদা, কোলাঘাট ও তমলুক পুরসভা অফিসে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যানার-পোস্টার পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার মেচেদার কাছে শান্তিপুর-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায় ও তাঁর স্বামীর (প্রসেনজিত রায়) বিরুদ্ধে পোষ্টার পড়ল। ময়না ব্লকের রামচক পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও পোষ্টার পড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিপুর গ্রামে উপপ্রধানের বাড়ির কাছে একাধিক জায়গায় তাঁর বিরুদ্ধে গরিব শিক্ষিত যুবকদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে ব্যানার দেখতে বাসিন্দারা। ‘প্রতারিত যুবক-যুবতী’ র নামে ওই সব ব্যানারে অভিযোগ করা হয়েছে। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ প্রথমে ছিল সিপিএম। কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে ও চাকরি নিয়ে হলো তৃণমূল। আর কয়েক দিনে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি ও স্কুল মাস্টার’এর চাকরি । বিভিন্ন চ্যানেলে ও কাগজে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে গরীব শিক্ষিত যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া কাটমানি অবিলম্বে ফেরৎ দিতে হবে’।
সকালে ওই ব্যানার নজরে আসার পরে এলাকায় শোকগোর পড়ে। কয়েকদিন আগেই শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সেলিম আলি ও শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে ব্যানার পড়েছিল। এদিন উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলা ওইসব ব্যানারে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না থাকায় ঘটনার পিছনে কারা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
ব্যানারে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত বলেন, ‘‘যারা ব্যানার দিয়েছে তারা যদি প্রতারিত হয় তবে আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুক। আমাদের দলের নেতাদের কলঙ্কিত করতে এই ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির লোকজন জড়িত রয়েছে।’’
মেচেদার বাসিন্দা তথা বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্যা অপর্ণা লস্কর বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতারা যে কাটমানি নিয়েছেন, তা স্বয়ং তাঁদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন। তারপরে প্রতারিত লোকজন কাটমানির টাকা ফেরত চেয়ে দাবি তুলেছেন। পোস্টার দেওয়ার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।’’ একই ইস্যুতে ময়না ব্লকের রামচক পঞ্চায়েততেও স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। পোস্টার পড়ার কথা স্বীকার করলেও ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন সব অভিযোগ করে রাতের অন্ধকারে ব্যানার দিয়েছে। আমরা এ সবে গুরুত্ব দিচ্ছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy