পোর্টালে মিলবে স্কুলের সব খবর। রাজ্যের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুরে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। বুধবারই জেলার স্কুলে স্কুলে পৌঁছেছে জেলা শিক্ষা ভবনের এক নির্দেশিকা। যেখানে স্কুল সংক্রান্ত সব তথ্য তৈরি রাখার কথা জানানো হয়েছে। যাতে বলা মাত্রই সব তথ্য পোর্টালে আপলোড করা সম্ভব হয়। জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমর শীল মানছেন, ‘‘পোর্টাল হবে। সেখানে স্কুলের তথ্য থাকবে। স্কুলগুলোকে সেই তথ্য তৈরি করে রাখার কথা জানানো হয়েছে।’’
বৃহস্পতিবার থেকেই জেলার স্কুলে স্কুলে তথ্য জোগাড়ের তৎপরতা শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে সব তথ্য তৈরি করে রাখার কথা জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। ফলে, সময় নামমাত্র। জেলা শিক্ষা ভবন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে সড়গড় করে তুলতে ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। ঠিক কী করণীয় তা জানানো হয়েছে।
পোর্টালটি হবে রাজ্যস্তরে। সেখানে রাজ্যের সব জেলার সরকার পোষিত স্কুলগুলোর তথ্য থাকবে। সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলগুলোর তথ্যও থাকবে। জেলা শিক্ষা ভবনের এক সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, স্কুলস্তরের যাবতীয় তথ্য যাতে চটজলদি পাওয়া যায়, তার জন্যই রাজ্যের সরকার পোষিত স্কুলগুলোর তথ্য নিয়ে চালু হবে ‘স্কুল ইনফর্মেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (এসআইএমএস)। ‘শিক্ষাসাথী’ নামে এই প্রকল্পে স্কুলের যাবতীয় তথ্য থাকবে ওই পোর্টালে।
ঠিক কতগুলো ক্ষেত্রের তথ্য তৈরি করতে বলা হয়েছে স্কুলগুলোকে? ওই সূত্রে খবর, ক্ষেত্রের সংখ্যাটা ২০।
কেমন? জেলার এক শিক্ষাকর্তার কথায়, ‘‘এসআইএমএস পোর্টালে স্কুলের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সকলের তথ্যই থাকবে। থাকবে স্কুলের ক্যাম্পাস, স্কুলের অন্যান্য সামাজিক কাজকর্মের তথ্যও।’’ ২০টি ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে স্কুলের ইতিহাস, ক্যাম্পাস, ভর্তি প্রক্রিয়া, ফি- পরিকাঠামো, স্কুলের পোশাক, নোটিস, পরিচালন সমিতি, স্কুলের ফলাফল প্রভৃতি। জেলার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘স্কুলের অনেক কিছুর সুলুকসন্ধান পোর্টালে মিলবে। ‘‘এই সিস্টেম চালু করা খুব দরকার ছিল। এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’’
জেলা শিক্ষা ভবনের এক সূত্রে খবর, এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে ফের এক প্রশিক্ষণ শিবির হতে পারে। এই শিবির হবে যাঁরা তথ্য আপলোড করবেন, তাঁদের নিয়ে (ডাটা এন্ট্রি অপারেটর)। ওই সূত্র জানাচ্ছে, প্রধান শিক্ষক প্রয়োজনে সব সহ- শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রছাত্রী, এমনকি ইচ্ছুক অভিভাবকদেরও ওই পোর্টালে ঢোকার অনুমতি দিতে পারবেন। যদি কোনও স্কুল ইচ্ছাকৃত ভাবে ‘ভুল’ তথ্য আপলোড করে পোর্টালে? জেলার এক শিক্ষাকর্তা বলেন, ‘‘যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য আপলোড করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy