Advertisement
E-Paper

শিক্ষায় তুখোড় দুই জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেলের বন্যা

গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল। তা দেখে চমকে গিয়েছেন শিক্ষক এবং শিক্ষা দফতরের কর্তারা।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কেশব মান্না

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৭
Share
Save

বরাবরই পড়াশোনায় তুখোড় বলে নাম রয়েছে দুই মেদিনীপুরের ছেলেমেয়েদের। প্রায় প্রতিবারই মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষায় ভাল নম্বর পাওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকে মেদিনীপুরের ছাত্রছাত্রীরা। সামগ্রিক পাশের হারেও অন্য জেলার তুলনায় এগিয়ে। কিন্তু এ হেন জেলায় অপ্রত্যাশিত খারাপ ফল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল। তা দেখে চমকে গিয়েছেন শিক্ষক এবং শিক্ষা দফতরের কর্তারা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অধিকাংশ কলেজে অর্ধেকের বেশি পড়ুয়া কোনও না কোনও বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন! শিক্ষায় এগিয়ে থাকা অবিভক্ত মেদিনীপুরে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী চালু হওয়ার নতুন পাঠ্যক্রমে স্নাতক স্তরে এমন এমন ‘ফেল’-এর বন্যায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে।কেন এত বেশি সংখ্যায় ছাত্রছাত্রী অন্তত একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন, তা বোঝার জন্য পুনরায় উত্তরপত্র খতিয়ে দেখা এবং সঠিক তদন্তের দাবিতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বেশ কিছু পড়ুয়ারা। এ ব্যাপারে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সামগ্রিক ভাবে কত জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন, তা খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা যদি আবেদন করে থাকেন তবে নিশ্চিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখবেন।"

২০১৮ সালে সিবিসিএস পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রম চালু করেছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি বছর জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নতুন সিলেবাস এনেছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৫৪টি কলেজে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষানীতি। অধ্যাপকদের একটা বড় অংশের দাবি, জাতীয় শিক্ষা নীতি মেনে এ বছর তড়িঘড়ি নতুন সিলেবাস আনা হয়েছে। এর ফলে এক দিকে যেমন পাঠ্যপুস্তক পেতে ছাত্র-ছাত্রীদের দেরি হয়েছে, তেমনই কলেজে পঠন-পাঠনের সময় তুলনায় কম পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি অবশ্য স্নাতক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহ কমে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন অধ্যাপকেরা। দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ের কয়েক জন পরীক্ষার্থী জানান,তাঁরা এম ওয়ান, ওয়ানটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। অনেকে আবার জানাচ্ছেন, এইসিসি বিষয়ে তাঁরা পাশ করতে পারেননি। মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার মিশ্রের কথায়, "প্রায় অর্ধেক সংখ্যক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।" পূর্ব মেদিনীপুরের একটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি কলেজে এইসিসি (ওয়ান) ইংরেজি বিষয়ে সমস্ত পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলির অধ্যক্ষ সংগঠনের সম্পাদক তথা কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দে বলছেন,"শুনেছি। মার্কশিট হাতে আসলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

midnapore

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy