ধৃতদের নিয়ে থানায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরির শ্যামপুর এলাকা থেকে অস্ত্র-সহ পাকড়াও হলেন দুই যুবক। খেজুরি থানার পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে। তার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ধৃতেরা কোন দলের তাই নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি, একে অন্যকে নিশানা করছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম চন্দন কলা এবং সহদেব দাস। চন্দন খেজুরির শেরখানচকের বাসিন্দা। সহদেবের বাড়ি নন্দকুমারের শ্রীকৃষ্ণপুরে। তাঁদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পিস্তল এবং একটি নম্বর প্লেট বিহীন বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ৪ দিনের পুলিশি হেফজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
শুক্রবার খেজুরি-১ বিডিও অফিসে বিজেপির বিক্ষোভ চলাকালীন ওই দুই সন্দেহভাজন নজরে আসে পুলিশের। কোমরে বন্দুক নিয়ে তাঁরা নম্বর বিহীন একটি বাইকে চেপে ওই জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় দুই যুবককে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ধৃতদের তল্লাশি করে ওয়ান শাটার বন্দুক উদ্ধার হয়। অভিযুক্তেরা কী উদ্দেশ্যে সেখানে ঘোরাঘুরি করছিলেন, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে আকচাআকচি।
খেজুরির তৃণমূল নেতা শ্যামল মিশ্রের দাবি, “অভিযুক্ত দুই যুবক বিজেপির সমর্থক। ওরা এলাকায় বন্দুক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। বাম আমলেও দুষ্কৃতীরা এভাবেই সন্ত্রাস চালাত। এখন বিজেপির ছত্রছায়ায় নতুন করে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম বেড়েছে এলাকায়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এদের সন্ত্রাসে এলাকায় চাষের জমিতে যেতেও মানুষ ভয় পাচ্ছেন। শুক্রবার বিজেপির বিডিও অফিস অভিযানের সময় এদের নিয়ে আসা হয়েছিল এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য। ধৃতদের জেরা করলেই প্রকৃত সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’’ অন্য দিকে, বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পবিত্র দাস বলেন, “খেজুরিতে তৃণমূল বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে। বিধানসভা ভোটের পর এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপি ভাল ফল করেছে।’’ তাঁর দাবি বিজেপির বিক্ষোভে দুই অস্ত্রধারীর ধরা পড়ার পিছনে তৃণমূলের একটা চক্রান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে গোহারা হারের পর বিজেপির মিছিলে এদের ঢুকিয়ে দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু পুলিশের নজরে চলে আসায় বড়সড় ঝামেলার হাত থেকে সবাই রক্ষা পেয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy