প্রতীকী ছবি।
গণধর্ষণ এবং ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের হয়েছে গত কয়েক মাসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছে অভিযুক্তেরা। কিন্তু এবার খোদ পুলিশের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেল হলদিয়ায়।
নির্যাতিতার অভিযোগ, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ওই পুলিশ আধিকারিক তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এ ব্যাপারে নির্যাতিতা শুক্রবার হলদিয়া মহিলা থানায় ওই পুলিশ আধিকারিক এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম মুকুল মল্লিক। তিনি ভবানীপুর থানায় সাব ইনস্পেক্টর হিসাবে কর্মরত। আর এক অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার গৌরহরি দাস অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি নির্যাতিতাকে মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিতেন। গৌরহরি দেভোগ এলাকার বাসিন্দা।
আদতে ভবানীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন, বেআইনি মদ ব্যবস্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক মাস আগে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে গত জুনে তিনি ভবানীপুর থানায় গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময় তথ্য জানার জন্য মুকুল তাঁর কাছ থেকে ৫০০ টাকা চান। পরে নানা কুপ্রস্তাবও দেন বলে অভিযোগ। নির্য়াতিতার দাবি, প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁর স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এর পরেই মুকুল ওই মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সঙ্গে ওই মহিলার অশ্লীল ছবি-ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করা হয়।
শুক্রবার নির্যাতিতা গোটা ব্যাপারে হলদিয়া মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, আপাতত মুকুলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই মহিলার অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’’
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন মুকুল মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy