অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, মেদিনীপুরে গুলি চালনার ঘটনায় ধৃত দুষ্কৃতীদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল মাদকও। এর মধ্যে যেমন গাঁজা রয়েছে, তেমন নিষিদ্ধ কোডিনও রয়েছে। পুলিশের একাংশ নিশ্চিত, ধৃতদের সঙ্গে মাদক চক্রের যোগ রয়েছে। আন্তঃজেলা মাদক পাচার চক্রের যোগও থাকতে পারে। তাদের গোপন ডেরায় আরও মাদকদ্রব্য মজুত থাকতে পারে।
বিপুল মাদক কোথা থেকে এল, প্রশ্ন উঠছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘কোনও দুষ্টচক্র জড়িত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথা থেকে এই সব সামগ্রী এসেছিল, তা কোথায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গাঁজা ওড়িশা থেকে জেলায় ঢুকেছে। ওষুধপত্র সরবরাহের সঙ্গে কোডিন ঢুকেছে। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘মাদক উদ্ধারে অভিযান হয়। ধরপাকড় চলেই।’’ পুলিশ মনে করাচ্ছে, রবিবারই ওড়িশা সীমানা লাগোয়া মোহনপুরে তিন গাঁজা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের আশ্বাস, ‘‘এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নিচ্ছে জেলা পুলিশ। মেদিনীপুরের ঘটনায় ধৃতদের পিছনে যারা রয়েছে, তাদেরও আমরা গ্রেফতার করব।’’ গুলি চালনার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ধৃত মূল অভিযুক্ত জানিয়েছে, তার সঙ্গে আর ৩ জনই ছিল। স্থানীয়দের একাংশের অবশ্য দাবি, দুষ্কৃতী দলে ৬ জন ছিল।
গত শনিবার রাতে মিনিট কুড়ির ব্যবধানে মেদিনীপুরে পরপর দু’জায়গায় গুলি চলে। শুরুতে শহরতলির যমুনাবালির কাছে এক হোটেলে চড়াও হয়ে দুষ্কৃতীরা এক লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি দেয়। গুলি ছোড়ে। পরে তারা যায় মহাতাবপুরে, পদ্মাবতী শ্মশানের কাছে। এক যুবককে হুমকি দেয়। এখানেও গুলিও ছোড়ে। পুলিশের দাবি, ভয় দেখাতেই ওই দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। ঘটনার রাতেই মূল অভিযুক্ত সুমন সিংহ ওরফে মোটা রাজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার সৌরভ ঘোষ ওরফে বুকাই-সহ আরও ৩ অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছে ৪টি পিস্তল-সহ কিছু গুলি মিলেছে। পাশাপাশি, মোটা রাজার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ কোডিন। বুকাইদের কাছে মিলেছে ২৬ কেজিরও বেশি গাঁজা।
পুলিশের একাংশ নিশ্চিত, মেদিনীপুরকে ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ মাদক সামগ্রী পাচারের ছক করেছিল দুষ্কৃতীরা। সূত্রের খবর, পুলিশের সুয়োমোটো মামলায় অস্ত্র আইনের পাশাপাশি, এনডিপিএস (নারকোটিক্স ড্রাগস সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যানসেস অ্যাক্ট) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের নালিশ, ‘‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগেই মেদিনীপুর-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় রমরমিয়ে মাদক-ব্যবসা চলছে।’’ তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি, ‘‘নিশ্চিতভাবেই পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ব্যবস্থাও নেবে।’’ দুষ্কৃতীদের একাংশের সঙ্গে তো শাসক দলের যোগের অভিযোগ ওঠে? সুজয়ের দাবি, ‘‘আমাদের দলের কেউ দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে কিংবা দুষ্কৃতীদের থেকে সহযোগিতা নিচ্ছে বলে আমার অন্তত জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy