প্রতীকী ছবি।
১১ মাসের শিশুকে অপহরণ করে পরিবারের থেকে দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিল অপহরণকারী। ফিল্মি কায়দায় ওই ছক ভেস্তে দিল পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের নরঘাটের কয়ালচক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ফোন কলের সূত্র ধরেই অবশেষে অপহরণকারীকে পাকড়াও করে নন্দকুমার থানার পুলিশ। শিশুটিকেও সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধারের পর তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। বাড়ির কাজেই ব্যস্ত ছিলেন মা সাহেদা বিবি। সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে খেলা করছিল ১১ মাসের শিশুটি। অভিযোগ, সেই সময় সুযোগ বুঝে মায়ের অগোচরে শিশুটিকে তুলে নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় শেখ সেরাজুল ওরফে সুবল নামে এক প্রতিবেশী। কাজ সেরে ঘরে ঢুকে সাহেদা দেখেন, সন্তান বিছানায় নেই। গোটা বা়ড়ি তন্নতন্ন করে খুঁজেও সন্তানকে না পাওয়ায় চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন সাহেদা। প্রতিবেশীরা সাহেদাকে জানান, সুবলই বাইক নিয়ে এসে তাঁর সন্তানকে গামছা দিয়ে ঢেকে নিয়ে গিয়েছে।
এর পরেই পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করেন সাহেদা। ছোট্ট সন্তানকে হারানোর আতঙ্কের মাঝেই দুপুর নাগাদ সাহেদাকে ফোন করে সুবল জানায়, ছেলেকে পেতে দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। নন্দকুমার থানার শীতলপুর এলাকায় ওই টাকা নিয়ে আসতে বলে অভিযুক্ত। মুক্তিপণের দাবির কথা চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানতে পেরেই নন্দকুমার থানায় খবর পাঠায়। এর পর শীতলপুর এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে সুবলের খোঁজ পায় পুলিশ। তাঁকে ঘিরেও ফেলা হয়। কিন্তু আবারও শিশুটিরে গামছায় ঢেকে বাইকে চেপে পালানোর চেপে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পিছু ধাওয়া করে। শেষমেশ তমলুকের নিমতৌড়িতে পুলিশের জালে ধরা দেয় সুবল। ধৃতকে নিজেদের পূর্ব-পরিচিত বলেই দাবি করেছে ওই শিশুর পরিবার। নন্দকুমার থানা সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাঁর মোটরবাইকটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy