শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক আগে কাঁথিতে বিজেপি-র জনসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় অবস্থিত শহিদ বেদি তিনি নিজে হাতে তৈরি করেছেন। এ কারণেই ৭ জানুয়ারি সকালে শহীদ বেদিতে মালা দিতে হাজির হবেন শুভেন্দু। প্রতি বছর তিনি তাই করেন। তবে এ বার পরিস্থিতি বদলেছে বিস্তর। শুভেন্দু এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে। সোনাচূড়ার শহীদ বেদিটি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে তৃণমূলের হাতেই রয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পালিত হবে শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান। সেখানে সকাল থেকে বসবে কীর্তনের আসর। হাজির থাকবেন হাজার হাজার মানুষ। সবটাই বেশ স্বাভাবিক মনে হলেও আদতে ভেতরে ভেতরে নন্দীগ্রামের অলিন্দে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে চাপা উত্তেজনা। কারণ, এ বার নন্দীগ্রামের শহিদ দিবসে তৃণমূল বনাম শুভেন্দুর মধ্যে কার পাল্লা ভারী হবে তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা।
শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি গড়েই ওই বেদি তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সোনাচূড়ার জমি আন্দোলনের নেতা তৃণমূলের কালিকৃষ্ণ প্রধান। তিনি জানান, সারা বছর এই শহিদ বেদির দেখাশোনা করেন শহিদ পরিবারের লোকেরা। তবে মেরামতের কাজ দেখাশোনা করে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। তাই ৭ জানুয়ারি সকালের অনুষ্ঠান ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে হলেও জমি আন্দোলনের প্রথম সারির প্রায় সমস্ত নেতা কর্মীই তৃণমূলে থাকায় তাঁরাই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কালিকৃষ্ণ বলেন, ‘‘ভোর সাড়ে ৪টে থেকে শুরু করে বেলা ১০টা পর্যন্ত কীর্তন-সহ নানা অনুষ্ঠান হরে।’’ শহিদ বেদিতে শুভেন্দুর মালা দিতে আসা প্রসঙ্গটি যদিও তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের মানুষ তাঁকে মেনে নেবে না বোধহয়।’’
অন্য দিকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা এবং প্রথম সারির জমি আন্দোলনকারী নেতা শেখ সুপিয়ান জানিয়েছেন, ওই দিন সোনাচূড়া শহিদ বেদিতে ভোর সাড়ে ৪টে থেকে অনুষ্ঠান শুরু করবে তৃণমূল। খুব ভোরে শহিদ বেদিতে মালা দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী। এর পর তৃণমূলের তত্ত্বাবধানে ওখানে কীর্তন অনুষ্ঠান চলবে। বেলা ১০টা থেকে নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠে কর্মীসভায় যোগ দেবেন সুব্রত বক্সী। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তেখালির সভা আপাতত স্থগিত হয়ে গেলেও আগামী দিনে তিনি ফের নন্দীগ্রামে আসবেন বলেই জানিয়েছেন সুপিয়ান।
তবে ৭ জানুয়ারি শুভেন্দু ওই একই শহিদ বেদিতে মালা দিতে এলে তাঁর জন্য জায়গা ছাড়া হবে কি না, এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান সুপিয়ান। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের শহিদ বেদি দলমত নির্বিশেষে জমি আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে তৈরি হয়েছে। যারা নন্দীগ্রামের জমিকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন অথবা বছরভর দিনরাত জমি বাঁচানোর আন্দোলনে শামিল ছিলেন তাঁরাই এই শহিদ বেদির স্রষ্টা।’’ সেই শহিদদের স্মরণে তাঁরা দিনভর কীর্তন অনুষ্ঠান চালিয়ে যাবেন। এর মধ্যে কে আসবেন আর কে আসবেন না তা নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যথা নেই বলেই দাবি সুপিয়ানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy