৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুপার মার্কেটের কাছে। নিজস্ব চিত্র
পুর নির্বাচন আসন্ন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এখনও আবর্জনা সমস্যার সমাধান হল না খড়ারে। উল্লেখ্য, গতবারের পুরভোটের সময়ও বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার ছিল এই আবর্জনার প্রসঙ্গ।
১৮৮৮ সালে ঘাটাল ব্লকের খড়ার পুরসভার তকমা পায়। তবে এত দিনেও শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়নি। পাড়ায় মোড়ে ময়লা ফেলার ভ্যাটের সংখ্যাও কম। তাই খড়ারের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, পুর এলাকায় নিয়ম করে সাফাই হয় না। এমনকী, পুর এলাকার আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ডও নেই। ফলে ময়লা-আবর্জনা রাস্তার মোড়ে কিংবা পুকুরের পাড়েই পচে নষ্ট হয়। মাঝে মধ্যে পুরসভার তরফ থেকে ভ্যাটের ময়লা গাড়িতে করে তুলে শহর লাগোয়া এক ফাঁকা মাঠে জড়ো করে রাখা হয়।
শুক্রবার খড়ার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বিভিন্ন পাড়া এবং জনবহুল রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তুপ পড়ে। সবচেয়ে করুণ অবস্থা গ্রামীণ ওয়ার্ডগুলির। শহর লাগোয়া ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ গ্রাম। কিন্তু শহরের জনবহুল এলাকা খড়ার আনাজ বাজার, কৃষ্ণপুরে দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। যেমন কপাট পাড়া, খড়ার বাজার, রায় পাড়া, মণ্ডল পাড়া, দোলই পাড়া, চৌধুরী পাড়া, মাইতি পাড়া, দলপতিপুর-সহ বিভিন্ন পাড়ার মোড়, রাস্তায় জমে আবর্জনার স্তুপ। কোথাও ভ্যাট থেকে ময়লা উপচে পড়ছে, কোথাও পথকুকুররা আবর্জনা নেড়েচেড়ে এলাকা অপরিষ্কার করছে। প্লাস্টিক জমে বুজে গিয়েছে শহরের ছোট-বড় ড্রেনগুলিও।
পুরভার আট নম্বর ওয়ার্ডের দোলই পাড়া, চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দাদের আক্ষেপ, “এখানে নিবার্চিত কাউন্সিলর পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন। ফলে কাউন্সিলার পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। বছর চারেক হয়ে গেল, নতুন করে নির্বাচন হয়নি। তাই এলাকা পরিষ্কারেও কারও নজরদারিও নেই।” শহরের গৃহবধূ উর্মিলা দোলই, দোলন রায়েরা বলছিলেন, “খড়ার পুরসভার ময়লার গাড়ি কোনওদিন চোখে দেখিনি। ভ্যাটও নেই। বাধ্য হয়ে সংসারের অব্যবহৃত যাবতীয় নোংরা বাড়ি সামনের জঙ্গলে বা পুকুর পাড়ে ফেলতে হয়।” সাফাই সমস্যার কথা স্বীকারও করেছে খড়ার পুরসভা। পুরসভার যুক্তি, পুরসভায় মোট চারজন স্থায়ী সাফাই কর্মী রয়েছেন। বাকি ২৫ জন অস্থায়ী কর্মী। এদের বেশিরভাগ আবার মহিলা। এদের দিয়ে শহর পরিষ্কার রাখা হয়। মাঝে মধ্যে ভ্যাট থেকেও ময়লা সংগ্রহ করা হয়। পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম মুখোপাধ্যায় মানলেন, “শহরের রাস্তা, আলো, নিকাশির যতটা উন্নতি হয়েছে সাফাইয়ের ক্ষেত্রে শহর অনেক পিছিয়ে। কর্মী সঙ্কটের কারণেই এই সমস্যা। তবে নিয়ম করে রাস্তাঘাট পরিষ্কার হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy