দাসপুরের বিষ্ণুপুর গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিলেন কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে আছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি, সম্পাদকেরাও।
বেশ কয়েক দিন ধরেই দাসপুরের সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই দলবদলের বিষয়ে কানাঘুষো চলছিল। শুক্রবার ওই পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গ্রামের বুথ তৃণমূল সভাপতি শোভান আলি, সম্পাদক জাকির হোসেন-সহ অনেক তৃণমূল কর্মী ওই দলবদল করেন। পুরনো দলের নেতাদের প্রতি ক্ষোভেই তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন বলে খবর। ওই গ্রামে সিপিএমের মিছিল ও সভায় ওই কর্মসূচি হয়।
সিপিএমের স্থানীয় এরিয়া কমিটির সম্পাদক অমল ঘোড়ইয়ের দাবি, ‘‘তৃণমূলের নেতারা এখন প্রকাশ্যেই দুর্নীতি করছেন। সরকারের টাকা নয়ছয় করছেন। সাধারণ মানুষের প্রাপ্য জিনিস কেড়ে নিচ্ছেন। তার ফলেই এই ঘটনা।’’ স্থানীয় সিপিএম নেতা রঞ্জিত পালের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও অনেক তৃণমূল কর্মী সিপিএমে যোগ দিবেন। তৃণমূলে ছেড়ে সিপিএমে আসা শোভান আলির বক্তব্য, ‘‘দলের নেতাদের একাংশ প্রকাশ্যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। স্বাধীনভাবে কোনও কাজ করতে পারা যাচ্ছে না। জেলা নেতৃত্বদের জানিয়েও লাভ হয়নি। উন্নয়নের টাকা এখন গ্রামে পৌঁছাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে না পারলে দলে থেকে লাভ কি!’’
তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা দল ছেড়েছেন, তাঁরা নিজেদের স্বার্থে দলকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। দল সেটা দেয়নি। এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েক মাস ধরেই সাহাচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষ্ণুপুর গ্রামে তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর ফলে পিছিয়ে পড়া ওই গ্রামের উন্নয়নও থমকে যায়। রাস্তা তৈরি-সহ সরকারি নানা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের মানুষ। ওই পঞ্চায়েত এলাকায় আগে থেকেই সিপিএমের প্রভাব রয়েছে। পঞ্চায়েতে সিপিএমের দু’জন সদস্যও আছেন। তাই এই দলবদল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy