আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে। —নিজস্ব চিত্র।
বাবা অসুস্থ, এই বলে এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে, আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের পলসা গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় পড়িয়া নামে অভিযুক্ত ওই কনস্টেবলকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খড়্গপুর গ্রামীণের পলসা এলাকার জানবলিদা গ্রামের এক মহিলার বিয়ে হয়েছে ওই এলাকারই কৌশল্যা গ্রামে। সেই মহিলার অভিযোগ, সঞ্জয় তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন। মহিলার দাবি, জানবলিদা গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় সঞ্জয় তার পূর্ব পরিচিত। মহিলার আরও দাবি, গত ২৪ মার্চ সঞ্জয় ওই মহিলাকে জানান, তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মেয়েকে দেখতে চান। মহিলার আরও দাবি, তিনি এবং তাঁর শিশুকন্যাকে বাইকে চড়িয়ে হাসপাতালের বদলে আনন্দপুর নামে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে যায় সঞ্জয়। সেখানে একটি বাড়িতে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে সঞ্জয় আনন্দপুর থানাতেই কর্মরত ছিলেন। আটকে রাখা হয় ওই মহিলার শিশুকন্যাকেও। মহিলার বক্তব্য, গত ২৭ মার্চ তিনি তাঁর বাবাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। ওই দিনই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এর পর ২৮ মার্চ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে খড়্গপুর লোকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার রাতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক সঞ্জয়কে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বিবাহিত। অভিযোগকারিণী তাঁর কাছে আইনি পরামর্শ চেয়েছিলেন। সাহায্যের নামে ওই মহিলাকে তিনি ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সঞ্জয় এবং তাঁর পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সঞ্জয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয়কে ক্লোজ করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy