প্রতীকী চিত্র
দিন কয়েকের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন এক পুলিশকর্মী। বাড়ি থেকে কর্মস্থলে গিয়েই করোনা আক্রান্ত হলেন তিনি। সেই খবর পৌঁছতেই ওই পুলিশকর্মীর পরিবারের ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই সবংয়ের তেমাথানি এলাকায় ওই পুলিশকর্মীর বাড়ির আশপাশ গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে দেয় ব্লক প্রশাসন। একইসঙ্গে ওই পুলিশকর্মীর স্ত্রী, দুই সন্তান, ভাই ও ভাড়াটের পরিবার-সহ ১১ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সবং গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই পুলিশকর্মী কীভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এক্ষেত্রে ওই পুলিশকর্মী বাড়িতে আসার আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন না কি বাড়িতে থাকাকালীন সংক্রমিত হয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। তিনি এখন হাওড়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ধন্দ কাটাতেই তাঁর সংস্পর্শে আসাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে সূত্রের খোঁজ পেতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। আক্রান্তের ভাই বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছে বাড়ি আসার আগেই দাদা করোনা আক্রান্ত ছিল। তাই আরও বেশি ভয় লাগছে।”
সবংয়ের বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই পুলিশকর্মী হাওড়ায় কর্মরত। আমাদের ধারণা তিনি কর্মস্থল থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। তবে আমরা ঝুঁকি না নিয়ে প্রায় আধ কিলোমিটার এলাকা গণ্ডিবদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। ওঁর পরিবারের ১১ জনের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী পাঁচলায় হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের সদর দফতরে কর্মরত। গত ৬ জুন নাগাদ তিনি সেখান থেকে সবংয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। পরিজনদের দাবি, তখন তাঁর কোনও উপসর্গ ছিল না। দিন কয়েক বাড়িতে থাকাকালীন ব্যাঙ্কের কাজ, বাজারও করেন তিনি। ১০ জুন ফের কর্মস্থলে ফিরে যান। তারপরে সেখানকার কয়েকজনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার রিপোর্টে জানা যায়, বছর আটচল্লিশের ওই পুলিশকর্মী করোনা পজ়িটিভ। রাতে সেই খবর আসে সবংয়ে। এর আগে সবংয়ের খড়িকা গ্রামের এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, চন্দ্রকোনা শহরে নতুন করে একজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। চন্দ্রকোনা-১ ও ঘাটাল ব্লকেও একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য ভবন থেকে নতুন তিন আক্রান্তের খবর জানানো হয়। তিনজনই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের শালবনির করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চন্দ্রকোনা শহরে আক্রান্ত যুবক ৬ জুন দিল্লি থেকে ফেরেন। চন্দ্রকোনা ১ ব্লকে যাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে তিনি ১০ জুন মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন। দু’জনেরই ১৬ জুন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে লালারস নেওয়া হয়। ঘাটাল ব্লকে নতুন আক্রান্ত যুবক ৪ জুন দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। ১৬ জুন ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটিতে তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy