জগন্নাথ পাল। নিজস্ব চিত্র
সাত বছর ধরে প্রশাসনিক দফতরে ঘুরছেন যে জন্য সেই আধার কার্ড আজও হয়নি। এরই মধ্য়ে বয়স ষাট পেরিয়ে গিয়েছে। সেখানেও বয়সোজনিত সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত তিনি। আজও বার্ধক্য ভাতা মেলেনি। সংসার চালাতে বর্তমানে দিনমজুরিই ভরসা ৬৩-তে পা দেওয়া জগন্নাথ পালের।
ভগবানপুর-১ ব্লকের গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথ দেশে আধার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হতে নির্দিষ্ট সরকারি শিবিরে গিয়ে ছবি তুলিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তখন তাঁর বয়স ছিল ৫৬ বছর। ছবি তুললেও সে সময় তাঁর আধার কার্ড আসেনি। পরে ফের পঞ্চায়েত দফতরে গিয়ে আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন। তার ভিত্তিতে জন্মের শংসাপত্র -সহ আধার কার্ডের জন্য ছবি তোলা হয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফাতেও আধার কার্ড হাতে পাননি জগন্নাথ। এরপর চলে দীর্ঘ লড়াই। পঞ্চায়েত থেকে ব্লক অফিসে গিয়ে একাধিকবার আধার কার্জের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। কিম্তু আজও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কিন্তু এই সাত বছরে আধার কার্ডের জন্য ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে বার্ধক্যে পৌঁছে গিয়েছেন জগন্নাথ। আধার কার্ড না থাকায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলায় সমস্যা হচ্ছে। বয়স ষাট পেরোলেও এখনও বার্ধক্য ভাতা, সরকারি সুবিধায় শৌচালয় কিংবা আবাস যোজনায় বাড়ি কোনওকিছুই জোটেনি জগন্নাথের। সংসার চালাতে তাই এখন দিনমজুর তিনি। আধার কার্ড না থাকায় সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন বৃদ্ধ দম্পতি। অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে আধার কার্ড তৈরির আবেদন জানিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। জগন্নাথের কথায়, ‘‘সাত বছর ধরে প্রশাসনিক দফতরে ঘুরছি। আজও আধার কার্ড হয়নি। কোনও রকম সরকারি সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছি না।’’
ভগবানপুর-১ এর বিডিও পঙ্কজ কোনার বলেন, ‘‘বৃদ্ধের এই ধরনের সমস্যা বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy