ঘাটাল ও দাসপুরের মধ্যে রাজ্য সড়ক জলমগ্ন নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টি থেমেছে। নদী উপচে নতুন করে গ্রামে জল না ঢুকলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা এখনও জলমগ্ন। বাসিন্দাদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যান জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যা টুডু।
শনিবার সকাল থেকেই আকাশ পথে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নৌকায় করে মন্ত্রীদের সঙ্গে এলাকায় যান পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুমন বিশ্বাস। এ ছাড়া মেদিনীপুরে বাঁধ পরিদর্শনে মানসের সঙ্গে ছিলেন হুমায়ুন কবির, বিধায়ক দীনেন রায় ও মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক সৌমেন খান। মনসুখায় ত্রাণ বিলির তদারকি করতে দেখা যায় তাঁদের।
ঘাটালের প্রায় ৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জলমগ্ন। ঘাটাল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ড, ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত, পাশের দাসপুর ১ ব্লকের ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও চন্দ্রকোনা ব্লকের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যদিও শিলাবতি ও ঝুমি নদীর জল বিপদসীমার কিছুটা নীচে রয়েছে। গাঁধী ঘাট ও বাঁকা পয়েন্টে জলের উচ্চতা দেখে কিছুটা স্বস্তিতে প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে নতুন করে জল না বাড়লেও জমা জল নামতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক। তিনি বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভাল। নতুন করে বৃষ্টি না হলে জমা জল নামতে শুরু করবে। পরিস্থিতি সামলাতে নৌকা নামানো হয়েছে। পাশাপাশি অসুস্থ ও অসহায় মানুষদের উদ্ধারের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দল কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy