প্রতীকী চিত্র।
আজ, শুক্রবার আসন্ন পুরভোটের ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। এই তালিকার দিকে নজর রয়েছে সব দলেরই। রাজনৈতিক দলগুলো জানাচ্ছে, তালিকা দেখে পুরভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করা হবে। পুরভোট কবে হবে তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। অনেকের অনুমান, আগামী এপ্রিলে পুরভোট হতে পারে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি পুরসভায় ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরই তোড়জোড় শুরু হয়েছিল জেলায়। জেলার ৬টি পুরসভায় পুরবোর্ডের মেয়াদ ফুরোবে আগামী মে মাসে। পুরসভাগুলি হল— খড়্গপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই এবং রামজীবনপুর। কমিশনের নির্দেশে এই ৬টি পুরসভায় ওয়ার্ড সংরক্ষণের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে সবদিক দেখে জেলা থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শুরুতে ঠিক ছিল, এই পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। আর ২৪ জানুয়ারি ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। পরে ওই সূচি পরিবর্তিত হয়েছে। সেই মতো আজ ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে।
খসড়া তালিকা নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তিনি তা ১৭ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে পারবেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। কমিশনের এমনই নির্দেশ রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, কোন ওয়ার্ডগুলি তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে তার একটি নির্দিষ্ট ক্রম থাকে। সেই ক্রম অনুসারেই সংরক্ষণ করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হবে।
সংরক্ষণের তালিকা তৈরিতে ২০১১ সালের জনগণনাকে ভিত্তি করা হয়েছে। মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে পুরবোর্ডের মেয়াদ গত বছরই ফুরিয়েছে। এই দুই পুরসভায় এখন প্রশাসক রয়েছেন। মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা আগেই প্রকাশিত হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ওই ৬টি পুরসভার সঙ্গে মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের পুরভোটও হবে। ওই ৬টি পুরসভায় নতুন করে আসন পুনর্বিন্যাস হয়নি। আগে যে সংখ্যক আসন ছিল, এখনও সেই সংখ্যক আসন থাকছে। মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামেও আর আসন পুনর্বিন্যাসের সম্ভাবনা নেই বলেই সূত্রের খবর।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সাধারণত ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন থেকে দশ সপ্তাহ পরে নির্বাচন হতে পারে।’’ ওয়ার্ড সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শুরুতে জেলা থেকে প্রস্তাব পাঠাতে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। সেই মতো জেলার প্রস্তাব কমিশনে গিয়েছে। সাধারণত জেলা প্রশাসনের পাঠানো প্রস্তাবকেই মান্যতা দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসন্ন পুরভোটই বড় চ্যালেঞ্জ শাসক- বিরোধী দুই শিবিরের কাছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘সব পুরসভা আমরা জেতার জন্যই ঝাঁপাব।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘ পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছি।’’ কোন কোন কাউন্সিলর সংরক্ষণের ‘কোপে’ পড়তে চলেছেন, বৃহস্পতিবার দিনভর সে নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy