ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলের সাংসদ হওয়ায় তাঁর তহবিলের টাকায় উন্নয়নের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয় বলে অভিযোগ ছিল। তাই কার্যত প্রথা ভেঙেই মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অর্থে প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব বর্তাল মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডিএ) উপরে। পর্ষদের চেয়ারম্যান মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি। এই প্রথম সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ টাকায় প্রস্তাবিত প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেল এমকেডিএ।
সাংসদেরা বছরে এলাকা উন্নয়ন তহবিলে (এমপি ল্যাড) ৫ কোটি টাকা করে পান। তাঁরা প্রকল্পের সুপারিশ করেন। রূপায়ণের দায়িত্ব প্রশাসনের। প্রশাসন রূপায়ণকারী সংস্থা ঠিক করে। সাধারণত, পুর এলাকায় পুরসভা এবং গ্রামীণ এলাকায় ব্লক অফিসের মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়িত হয়। এতদিন শহর এলাকায় এই কাজের জন্য জেলা থেকে পুরসভাকেই প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থার (এগজিকিউটিভ এজেন্সি) দায়িত্ব দেওয়া হত। কিন্তু এ বার মেদিনীপুর এবং খড়্গপুর শহরের কিছু প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব এমকেডিএ-কে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রথা ভাঙছে।
মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ বারবারই দাবি করেন, তিনি উন্নয়নের চেষ্টা করলেও তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। সম্প্রতি খড়্গপুরে এসে তাঁকে নালিশ করতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কেন উন্নয়ন হয়নি? কেন রাস্তা, জলের সমস্যা মেটেনি? এখন যে বিধায়ক, তিনি আগে পুরপ্রধান ছিলেন। এখনও পুরসভা দখল করে বসে রয়েছেন। নিজে কোনও কাজ করেন না। কাজ করতেও দেন না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশও বলছেন, ‘‘সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ অর্থে কাজ করতে গড়িমসি করা হচ্ছে। এর আগে খড়্গপুর পুরসভা গড়িমসি করেছে। এ বার এমকেডিএ-কে কিছু প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দিয়েছে প্রশাসন বলে শুনেছি। দেখা যাক, কী করে!’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ শুধু মুখে বড় বড় কথা বলেন। কাজের কাজ কিছু করেন না। নিজের গাফিলতি ঢাকতে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপান।’’ খড়্গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকারেরও দাবি, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ।
প্রস্তাবিত প্রকল্প
মোট প্রকল্প: ১১ (৭টি খড়্গপুরের, ৪টি মেদিনীপুরের)
ব্যয়: ৬৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা কাজের তালিকায়
মেদিনীপুরে নজরগঞ্জের নিকাশি নালা, খরচ ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা
শেখপুরায় দু'টি শৌচাগার, খরচ ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা
রাঙামাটিতে নিকাশি নালা, খরচ ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা
তাঁতিগেড়িয়ায় বড় নিকাশি নালা, খরচ ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা
খড়্গপুরের দেবলপুরে সাব-মার্সিবল পাম্প, খরচ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
ইন্দায় কংক্রিটের রাস্তা, খরচ ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
খিদিরপুরে কংক্রিটের রাস্তা, খরচ ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা
দেওয়ানমাড়োতে কংক্রিটের রাস্তা, খরচ ১০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা
জানা যাচ্ছে, সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ অর্থে দুই শহরে ১১টি প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেয়েছে এমকেডিএ। মোট ব্যয় হওয়ার কথা ৬৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। নিয়মমাফিক ওই ১১টি প্রকল্প রূপায়ণের জন্য এমকেডিএ- র কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পৌঁছেছে। কাজ শেষের সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রকল্পগুলির কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy