—প্রতীকী ছবি
বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলবদল করেছেন তাঁর অনুগামী বলে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকজন নেতাও। ‘দলবদলু’ নেতারা এখনও বিজেপিতে কোনও পদ পাননি। নতুন দলে তাঁরা কোনও পদ পাবেন কি না, পেলে কবে পাবেন, এমনকি কে, কী পদ পাবেন, সে নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা রয়েছে। বিজেপির দলীয়স্তরে যেমন ধোঁয়াশা রয়েছে, তেমন ওই অনুগামীদের মধ্যেও ধোঁয়াশা রয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের শীঘ্রই দলের সাংগঠনিকস্তরে বিভিন্ন কাজে যুক্ত করা হবে।
জানা যাচ্ছে, বিজেপি নেতৃত্বের অনেকে মনে করছেন, এ ক্ষেত্রে আগে সমন্বয় বৈঠক জরুরি। তাঁদের সঙ্গে শুভেন্দু-অনুগামী বলে পরিচিতদের সমন্বয় বৈঠক হলেই যাবতীয় ধোঁয়াশা দূর হবে। তাঁরাও যেমন বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোর ব্যাপারে অনুগামীদের বোঝাতে পারবেন, তেমন অনুগামীরাও সুবিধা-অসুবিধা তাঁদের জানাতে পারবেন। জানা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই জেলাস্তরে সমন্বয় বৈঠক হবে। জেলা থেকে রাজ্যে বার্তা গিয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ এলেই ‘দলবদলু’ নেতাদের ডেকে আলোচনায় বসবেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে অবশ্য পরস্পর যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। অনুগামীদের একাংশ যেমন বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন, তেমন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশও অনুগামীদের সঙ্গে সংযোগ রেখে চলেছেন।
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘যাঁরা দলে এসেছেন, নিশ্চিতভাবে তাঁদের দলে সাংগঠনিক কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও হবে।’’ বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘যাঁরা দলে এসেছেন, তাঁদের দলে সাংগঠনিক কাজে যুক্ত করা হবে। তাঁদের নিয়ে শীঘ্রই এক বৈঠক হতে পারে।’’ জানা যাচ্ছে, দলে আসা অনুগামীদের জায়গা দিতে বিজেপির একাধিক কমিটির পুনর্বিন্যাসও হতে পারে। অনুগামীদের কাউকে জেলায় কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে, কাউকে ব্লকে। কমিটির পুনর্বিন্যাস হতে পারে সে জন্যই।
এই জেলার ‘দলবদলু’- দের মধ্যে রয়েছেন প্রণব বসু, অমূল্য মাইতি, রমাপ্রসাদ গিরি, তপন দত্ত, দুলাল মণ্ডল, কাবেরী চট্টোপাধ্যায়, আকাশদীপ সিংহ, স্নেহাশিস ভৌমিক প্রমুখ। অমূল্য, রমাপ্রসাদ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, তপন জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ, কাবেরী উপাধ্যক্ষ, আকাশদীপ গড়বেতা- ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। অন্য দিকে, প্রণব মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান, দুলাল তৃণমূলের কিষাণ ও খেতমজুর সংগঠনের জেলা সভাপতি ছিলেন। জানা যাচ্ছে, অমূল্যরা ইতিমধ্যে অন্তরার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দলের কাজে যুক্ত হতে চেয়েছেন। রমাপ্রসাদরাও শমিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অমূল্য মানছেন, ‘‘বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে।’’
জানা যাচ্ছে, জেলায় ফের একদফায় অনুগামীদের যোগদান হতে পারে। কর্মসূচিতে থাকতে পারেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। খড়্গপুরে এই যোগদান কর্মসূচি হতে পারে। তৃণমূল অবশ্য বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কেউ ভয়ে, কেউ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিজেপিতে গিয়েছে। কিছু নেতা গিয়েছে, কর্মীরা নন। কে ভাল, কে ভাল নয়, জেলার মানুষ সে ফারাকটা করে নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy