ঠান্ডা থেকে বাঁচতে রোদ পোহাচ্ছেন দুই বৃদ্ধা। ঘাটালে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা
শীতে কার্যত কাঁপছে মেদিনীপুর। চলতি মরসুমের শীতলতম দিন ছিল শুক্রবার। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মিটিওরোলজি পার্ক সূত্রে খবর, শুক্রবার মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার দিনভরও বেশ শীত শীত ভাব ছিল মেদিনীপুরে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় হওয়ার জন্যই এই কাঁপুনি দেওয়া শীত। তার জন্য সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। মেদিনীপুরে এখন দুপুর, বিকেলের দিকেও পারদ ঘোরাফেরা করছে ১২- ১৪ ডিগ্রির আশেপাশে। আপাতত ক’দিন মেদিনীপুরে এমনই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা মালুম হবে। এখন সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকছে। বেলার দিকে রোদের দেখা মিলছে। তবে রোদেও শীতের পোশাক পরে ঠকঠক করে কাঁপছেন অনেকে। ভোরের দিকে, রাতের দিকে রীতিমতো কাঁপুনি দিচ্ছে।
পারদ নামতে শুরু করায় জনজীবনে শীতের চেনা ছবিও চোখে পড়ছে। সন্ধ্যার পরে অলিগলিতে আগুন জ্বেলে হাত- পা সেঁকা চলছে। রাত একটু গড়ালেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেন খান বলছিলেন, ‘‘ভরপুর শীতের আমেজ মেদিনীপুরেও অটুট।’’ ডিসেম্বরের শেষ দিকেও একাধিক দিন মেদিনীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ এর ঘরে ঠেকেছিল। ২৯ ডিসেম্বর ছিল ৯.২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩০ ডিসেম্বর ছিল ৯.৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিস্থিতি এমনই যে, কেউ কেউ রসিকতা করে সমাজমাধ্যমে ‘এডিটেড’ ছবিও ছড়াচ্ছেন। যেখানে দেখানো হচ্ছে, মেদিনীপুরে বরফ পড়েছে! শনিবার সকালের দিকেও কুয়াশা ছিল। দৃশ্যমানতাও ছিল কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে।
মেদিনীপুরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে ওই নদীর ধারে পিকনিক করতে এসেছিলেন সৌগত দাস। সৌগত বলছিলেন, ‘‘সকালে বাইক চালিয়ে এখানে আসতেই কেমন কেমন করছিল! ঠান্ডায় যেন হাত জমে যাচ্ছিল!’’ মেদিনীপুরে পারদ পতনের রেকর্ড অবশ্য ৯ ডিগ্রি নয়, আরও কম। কেমন? বছর ছয়েক আগে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে মেদিনীপুরে এমন কনকনে শীতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই সময়ে একদিন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি হয়ে গিয়েছিল। ওটাই ছিল ওই মরসুমে মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়াও একাধিক মরসুমে মেদিনীপুরে তাপমাত্রা নেমে ৭ ডিগ্রি হয়েছে। এ বারও কি তেমন পারদ পতন হবে, কৌতূহল রয়েছে এ নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy