বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়ের সমর্থনে প্রচারে অগ্নিমিত্রা পাল।বুধবার। মেদিনীপুর শহরে। —নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে এলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর দাবি, মেদিনীপুরে উপনির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। মেদিনীপুরের মানুষকে ‘অগ্রিম শুভেচ্ছা’ও জানালেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘মেদিনীপুরে এলে মনে হয় যে, নিজের জায়গায় এসেছি। মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে যে ভাবে স্বাগত জানাচ্ছে, সমর্থন জানাচ্ছে, জয় আমাদের নিশ্চিত। অগ্রিম শুভেচ্ছা মেদিনীপুরের মানুষকে।’’ লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। পরাজিত হয়েছেন।
বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়ের সমর্থনে আজ, বৃহস্পতিবার প্রচারে আসার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বিকেলে শহরে মিছিলে থাকার কথা তাঁর। রাঙামাটির উড়ালপুলের কাছ থেকে শুরু হওয়ার কথা মিছিল। কেরানিতলা, গোয়ালাপাড়া, গোলকুয়াচক, পঞ্চুরচক হয়ে সিপাইবাজারে এসে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। বুধবার মেদিনীপুরে এসে রোড শো করেছেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটা জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। মানুষকে ঠকিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জি করের ঘটনায় আমরা চাই, পরিবারটা বিচার পাক। যারা ধর্ষণ করছে, তাদেরকে আড়াল করার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’’ লোকসভায় পরাজিত হয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। লোকসভার নিরিখে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও পিছিয়েছিল বিজেপি। অগ্নিমিত্রা বলছেন, ‘‘সামান্য ভোটে, মাত্র ২,৭০০ ভোটে মেদিনীপুর থেকে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। এটা কিছুই নয়। আমি হেরে গেলেও, বারবারই ফিরে আসব মেদিনীপুরে। মহিলারা আজকে কোনও মতেই এই সরকারকে ভোট দেবে না। যাঁদের বাড়িতে কন্যাসন্তান রয়েছে, তাঁরা কোনও দিনই তৃণমূলকে ভোট দেবে না।’’
এ দিন মেদিনীপুরে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। দলের প্রার্থী শ্যামল ঘোষের সমর্থনে রোড শো করেছেন তিনি। পথসভা করেছেন। কর্মী বৈঠক করেছেন। শুভঙ্কর বলেন, ‘‘চালের দাম বেড়েছে। আনাজের দাম বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় দালালরা যে ভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে, কাটমানি খাচ্ছে, সাধারণ মানুষ তার কুফল পাচ্ছে। কংগ্রেস থাকলে এ গুলি কিন্তু হতে দিত না।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘সিবিআই এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ, দু’জনেই কোনও কাজ করতে পারছে না, এটা বাস্তব।’’
এ দিন মেদিনীপুর গ্রামীণের নয়াগ্রামে প্রচারে যান তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। বিজেপিকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘ভোট এসেছে, আবার দেখা পাবেন বাবুদের (বিরোধীদের)। জুন মাসের আগে দেখা পেয়েছিলেন। তার পর বন্যা হয়েছে, ঝড় হয়েছে, বাবুদের দেখা নেই। আবার এখন সেই বাবুরা দরজায় দরজায় যেতে শুরু করেছে। মানুষে মানুষে বিভাজনের কথা বলছে। ওরা মানুষের বিপদে থাকে না।’’ লোকসভায় কয়েকটি এলাকায় পিছিয়েছিল তৃণমূল। উপনির্বাচনে যেন সেটা না হয়। সতর্ক করেছেন সুজয়। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘দিদি কী বলবে আমাকে (পিছিয়ে থাকলে)? দিদি বলবে, তুমি অপদার্থ। দিদি বলবে ওখানে ভোট কম পড়েছে, ওটা তোমার অপদার্থতা। মানুষের কোনও দোষ নেই। মানুষকে তোমরা বোঝাতে কোথাও সক্ষম হওনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy