দেওয়া হয়েছে গার্ড রেল। নিজস্ব চিত্র।
দিঘা যাওয়ার পথে ১১৬ বি জাতীয় সড়কে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেছে একাধিক দুর্ঘটনা। হয়েছে প্রাণহানি। এতে নড়েচড়ে বসেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। ১১৬ বি জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকাগুলিতে তিনটি করে গার্ডরেল বসানো হচ্ছে জেলা পুলিশের তরফে।
গত ২৫ জুলাই মারিশদা থানায় এলাকার খড়িপুকুরিয়ার কাছে পর্যটকদের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্থানীয় তিন যুবকের। ওই ঘটনায় নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা এক পর্যটকও মারা যান। তার আগে ১৬ মে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নদিয়ার চার পর্যটকের। দিন কয়েক আগে চণ্ডীপুরে ইঞ্জিন রিকশা উল্টে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল। গত বছর পরপর দু’বার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়।
দিঘা থেকে নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে বারবার দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর জেলায় দু’জন ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার ট্রাফিক অফিসার থাকা সত্ত্বেও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিয়োগ করে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এরপর ১১৬ বি জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলি ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকেরা নতুন করে পরিদর্শন করেন। গত সপ্তাহে গোটা জেলা জুড়ে ৭০টি ‘ব্ল্যাক স্পট’ চিহ্নিত করেন তাঁরা। যার অধিকাংশই ১১৬ বি জাতীয় সড়কের মধ্যে পড়ে।
জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, ওই চিহ্নিতকরণের পরে মঙ্গলবার থেকে ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে গার্ডরেল বসানো শুরু হয়েছে। কাঁথির বাইপাস এলাকা, মারিশদা, বাজকুল, ইড়িঞ্চি, ঠাকুরনগর, চণ্ডীপুর উড়ালপুলের কাছে তিনটি করে গার্ড রেল বসানো হয়েছে। যেসব এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে স্কুল বা কলেজ রয়েছে, সেখানে ডিভাইডার বসানোর পরিকল্পনাও করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনার জেরে ১১৬ বি জাতীয় সড়ক পরিদর্শন করে নতুন করে ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে তিনটি গার্ড রেল বসানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy