২০২২ সালের টেটে দ্বিতীয় হয়েছেন মেঘনা চক্রবর্তী। — নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার যখন ২০২২ সালের প্রাথমিকে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা (টেট)-এর ফল ঘোষণা হচ্ছে, তখন ট্রেনে মেঘনা চক্রবর্তী। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। টেটে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। তাঁর বাবা, মা আর ভাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল মেঘনা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় মহকুমার মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন। টেটের ফল শুনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আরও যোগ্যরা যাতে চাকরি পান, এ বার সে দিকে নজর দিক রাজ্য সরকার।’’
টেট নিয়ে বার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি এখনও হাই কোর্টে বিচারাধীন। জেলবন্দি শাসকদলের বিধায়ক থেকে নেতা। বিতর্কের মাঝেই শুক্রবার টেটের ফল ঘোষণা হয়। মেঘনার মা স্বপ্না চক্রবর্তী জানান, মেধার যে আলাদা জায়গা রয়েছে, তা আরও এক বার প্রমাণিত হল। তাঁর কথায়, ‘‘মেধার একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। অসৎ উপায়ে চাকরি তো ঠিক নয়। তা হলে আগামী প্রজন্ম কী শিখবে? মেধা রয়েছে যে সব ছাত্রছাত্রীদের, তাঁরাও ভাল সুযোগ পেল।’’ মেয়ের এই ফলে তিনি দারুণ খুশি। মেয়ে বাড়িতে থাকলে, আরও বেশি আনন্দ হত বলে জানিয়েছেন স্বপ্না।
‘স্বচ্ছ ভাবে’ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মেঘনার বাবা সুজিত চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘ভাল লাগছে, আনন্দের ব্যাপার। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে মেয়ে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানাব এত দিন পরে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষার রেজাল্ট বার হল।’’ পাশাপাশি তিনি আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘‘যোগ্যরা যাতে চাকরি পান, সে দিকে রাজ্য সরকার লক্ষ্য রাখুক। চাইব, যাঁদের মেধা রয়েছে, তাঁরা চাকরি পান।’’ এ-ও জানালেন, মেয়ে এক মাস রাত জেগে পড়েছেন। তার ফল পেয়েছেন।
দাদা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমার বোন মেঘনা চক্রবর্তী ২০২২ সালের টেটে রাজ্যে দ্বিতীয় হয়েছে ১৩২ নম্বর পেয়ে। আগেও পরিবারকে গর্বিত করেছে। আগামী দিনেও এ ভাবেই এগিয়ে যাবে। সেই বিশ্বাস আর ভরসা চক্রবর্তী পরিবারের রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy