Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

মেডিক্যাল কলেজ তমলুকে

প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন ওই মেডিক্যাল কলেজ গড়তে  প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করার জন্য সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০০:২১
Share: Save:

জেলা ভাগের দেড় দশকেরও বেশি সময় পরে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ পেতে চলেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। তমলুকে ওই কলেজ গড়তে ইতিমধ্যে প্রশাসনিক তোড়জোড় শুরু হয়েছ। তৎপর জেলা স্বাস্থ্য দফতরও।

প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন ওই মেডিক্যাল কলেজ গড়তে প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করার জন্য সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশ পেয়েই জেলা স্বাস্থ্য দফতর তমলুক জেলা হাসপাতাল চত্বর-সহ সংলগ্ন এলাকায় জমি চিহ্নিত করেছে। মেডিক্যাল কলেজ গড়ার জন্য কমপক্ষে ২০ একর জমির প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে। তমলুক জেলা হাসপাতাল চত্বরে ২০ একরেরও বেশি জমি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই হাসপাতাল চত্বরের জমিটি পাওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জানানোও হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সম্প্রতি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল তমলুকে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ২০ একর জমির প্রয়োজন। তমলুকে জেলা হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় ২৫ একর জমি রয়েছে বলে আমরা জানিয়েছি।’’ প্রাথমিকভাবে জমি চিহ্নিতকরণের কাজও হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিতাইবাবু। তিনি বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।’’

কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে প্রতি তিনটি সংসদ এলাকা মিলে একটি করে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হবে। এ রাজ্যে পাঁচটি নতুন মেডিক্যাল কলেজ গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সে জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রাথমিকভাবে তমলুক, ঝাড়গ্রাম, উলুবেড়িয়া-সহ মোট পাঁচটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।

এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা কেন্দ্রের ঘোষণা। মেডিক্যাল কলেজের জন্য আমাদের কাছ থেকে জায়গার নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। মেদিনীপুর যেহেতু বড় জেলা, তাই তমলুক ও ঝাড়গ্রাম দু’টি জায়গার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তমলুক শহরে জেলা হাসপাতাল এবং সংলগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের ২৫ একর জমি রয়েছে। এছাড়া, শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কেলোমালে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চত্বরেও প্রায় ৭ একরের মত জমি রয়েছে। নিতাইবাবু জানান, কলেজ গড়ার যে ২০ একর জমি প্রয়োজন, তা একলপ্তের বদলে দু’টি জায়গায় হলেও চলবে। সে ক্ষেত্রে এক জায়গায় ১০ একর এবং ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অন্য জায়গায় কমপক্ষে পাঁচ একর জমি থাকতে হবে। তমলুকের ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত ওই সকল নিয়মই মান্য করা যাচ্ছে।

বর্তমানে তমলুক জেলা হাসপাতালে মোট ৫১০টি শয্যা রয়েছে, যা মেডিক্যাল কলেজ গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। তমলুকে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই জেলার রাজনৈতিক শিবিরেও এর কৃতিত্ব নেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে। তৃণমূল প্রভাবিত স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠন ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ননগেজেটেড হেলথ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক সত্যরঞ্জন সাহু বলেন, ‘‘তমলুকে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়ার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আমরা খুশি।’’

এ দিনই আবার তমলুকে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার দাবি তুলে শহরে হাসপাতাল মোড়ে মিছিল করেন ডিএসও কর্মী-সমর্থকেরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Tamluk MEdical College
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy