সমুদ্রে নামেনি বহু ট্রলার। —নিজস্ব চিত্র
ইলিশ দূর অস্ত। এ বার সমুদ্রে গিয়ে তেমন ভাবে পাওয়া যায়নি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও। অথচ অন্যান্য বছর ভিন্ন ছবি দেখা যায় দিঘায়। দাম বাড়ছে পেট্রোল এবং ডিজেলের। অথচ মাছের দেখা না মেলায় আশঙ্কায় দিঘার মৎস্যজীবীরা। এ জন্য সমুদ্রে বটম ট্রলিংকেই (মাটি আঁকড়ে জাল টানা) দায়ী করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি দেবাশিষ শ্যামল।
মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দিঘা এবং সংলগ্ন এলাকায় ছোট, বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। যার মধ্যে গভীর সমূদ্রে মাছ শিকারে যায় ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ ট্রলার। কিন্তু মাছ সে ভাবে না পাওয়া যাওয়ায় বহু ট্রলার মালিকই সমুদ্রে ট্রলার নামাতে চাইছে না বলে মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের ভর্তুকিতে পেট্রোল এবং ডিজেল দেওয়ার দাবিও উঠেছে।
দিঘা শংকরপুর ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশানের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘প্রকৃতি এবার বিমুখ। দিঘার সমূদ্রে এবার ইলিশের দেখা মিলছে না। অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি।’’
সমুদ্রে মাছের এই আকালের জন্য বটম ট্রলিংকেই (মাটি আঁকড়ে জাল টানা) দায়ী করেছেন দেবাশিস। পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতির অভিযোগ, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে সমুদ্র এবং নদীতে যথেচ্ছ হারে বটম ট্রলিং চলছে। সেই সঙ্গে ঘন ফাঁসের জাল ব্যবহারও অন্যতম কারণ। অধিকাংশ সময় ছোট মাছ ধরে পাড়ে তুলে আনা হচ্ছে। এর জেরে চারাপোনা মারা পড়ছে। গত কয়েক বছরে এই বেপরোয়া মাছ শিকারই জীব বৈচিত্রকে নষ্ট করে দিয়েছে।’’ এর ফলে সমুদ্র এবং নদীতে ৭০% মাছ ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়েছে বলেই দাবি করেছেন শ্যামল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy