বেশ কিছু জায়গা এখনও জলমগ্ন।
পশ্চিম মেদিনীরপুর জেলার বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে বেশ কিছু জায়গা এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। সোমবার জলে ডুবে ঘাটাল থানার চৌকা এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ঝর্না বারি (৩৮) নামে এক মহিলার। জেলায় চলতি মাসে বন্যা পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯। তার মধ্যে জলে ডুবে ১০ জন, দেওয়াল চাপা পড়ে ৭জন, বজ্রপাতে ১জন এবং সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা কমেছে। জেলার বন্যাদুর্গত এলাকাগুলিতে মোট ৭৫৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেখানে ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১১টিতে। সেখানে রয়েছেন ৭,২১৫ জন বন্যাদুর্গত। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, সবং ব্লকে ৩৯টি ত্রাণ শিবিরে ৩,২৪৯ জন জন রয়েছেন, পিংলা ব্লকে ৫৬টি ত্রাণ শিবিরে ৩০১৬ জন।
উদ্ধার ও ত্রাণবণ্টনের জন্য জেলায় নৌকা নামানো হয়েছে ৬৯টি। ৮৭,৩২৮টি বাড়ি আংশিক বা পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা থাকায় সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। দুর্যোগের সময় বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন প্রশাসন। জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ~~নতুন করে বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ায় জল বাড়েনি। বরং যে সব এলাকায় জল জমে ছিল সেখান থেকে জল নামতে শুরু করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।’’
ঘাটাল পুরসভা এলাকায় মনসুখা, দীর্ঘগ্রাম, রামচন্দ্রপুর এলাকার রাস্তা জলের তলায়। পিংলার ৮ নম্বর অঞ্চলের পিন্ডরুই ৯ নম্বর অঞ্চলের বড়িষা, বাগনাবাড়, নুনগোদা, পশ্চিমচক এবং সবংয়ের চাউলকুরি, দশগ্রাম, নওগাঁ, শারতা, মোহার, নারায়নবার, ভেমুয়া-সহ বেশ কিছু গ্রাম এখনও জলমগ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy