লজ্জিত মানস ভুঁইয়া। — ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের গর্ভজাত মানস ভুঁইয়া তাঁর অতীত নিয়ে লজ্জিত। একসময় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন, এ কথা ভেবেই লজ্জা পান তিনি। বৃহস্পতিবার ঘাটালে এমনই জানালেন মন্ত্রী মানস।
বৃহস্পতিবার রাস্তাশ্রী নিয়ে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে দাসপুর মিলন মঞ্চে এক সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মানস। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমার লজ্জা হচ্ছে আমি কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম।যে সিপিএম হাজার কংগ্রেস কর্মীর চোখ উপড়ে দিয়েছে, জিভ কেটেছে,খুন করেছে,তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস এখন তৃণমূলের সমালোচনা করছে।নীতি বিসর্জন দিয়ে রাম বাম এক হয়ে রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা।কংগ্রেস তাদের মদত দিচ্ছে।” তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ ফিরে যাচ্ছেন অতীতে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নেমে বিভিন্ন সভায় প্রার্থী মানস বলতেন, “মনে রাখবেন আমি কংগ্রেসের গর্ভে জন্মেছি। আর মৃত্যুও যেন কংগ্রেসের পদতলে হয়। আমার মরদেহ যেন ঢাকা থাকে কংগ্রেসের পতাকায়।” এর পরে নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে ৮এপ্রিল রাতে সবংয়ের দুবরাজপুরে খুন হন তৃণমূলের বুথ সভাপতি জয়দেব জানা। সেই খুনের মামলায় ২২জনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মানস ভুঁইয়াও। এর পরে নির্বাচনে জয়ের পরেও ২০১৬সালের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের পতাকা ছেড়ে সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন মানস।
এ দিন মূলত রাস্তাশ্রী ও পথশ্রী নিয়ে তৃণমূলের ওই সাংবাদিক বৈঠক ছিল। সেখানেই মানস বলেন, “কেন্দ্রের কাছে রাস্তার কাজে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই দেনা মাথায় নিয়ে রাস্তা নিয়ে রাজ্য সরকার নজির গড়েছে। দেশের কোনও রাজ্য রাজ্যের সম্পদ কাজে লাগিয়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছে, তার নজির নেই।” চাকরি দুর্নীতির কারণে রাজ্য জুড়ে অস্থির পরিস্থিতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প গুলির কথা মনে করিয়ে দেন মানস। সেই প্রসঙ্গেই নিজের অতীত নিয়ে লজ্জা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বাম আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি প্রসঙ্গে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মানস বলেন, ‘‘ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বহু তথ্য হাতে এসেছে। তাতে বড় বড় সব নেতাদের নাম লেখা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হাতে প্রমাণ নিয়ে কথা বলেন। সময় হলেই তা প্রকাশ্যে আনা হবে।”
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সংব ব্লকে শুরু হওয়া ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে বিঁধেছেন মানস। বিজেপিকে বিঁধতে গিয়ে একসুতোয় অধীর চৌধুরীকে গেঁথে দেন মানস। বলেন, “নির্লজ্জ বেহায়া কংগ্রেসের রাহুল গাঁধীকে ধাক্কা দিয়ে তার সাংসদ পদ কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। আর অধীরকুমার চৌধুরী ধেই-ধেই করে নাচছে। বহরমপুরে বিজেপি, সিপিএমের সমর্থন নিয়ে আমরা তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছি। এত বড় রাজনৈতিক আহম্মক আমার রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি। এখন কী বলবে অধীর কুমার, বাংলার নন্দলালের দল!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy