ভূঁইয়াবাড় গ্রামে বাড়ির সামনে প্রদীপ হাতি। নিজস্ব চিত্র
কাটমানি-কাণ্ডে জেলায় বিদ্ধ একাধিক তৃণমূল নেতা। নিত্যদিনই কোথাও না কোথাও পড়ছে এই সংক্রান্ত পোস্টার। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল চণ্ডীপুর ব্লকের নন্দপুর বরাঘুনি পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে। ওই গ্রামের এক বাসিন্দা সম্প্রতি বিডিও’র কাছে অভিযোগ করেছেন যে, যোজনায় নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি টাকা পাননি। উল্টে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কেউ বা কারা তাঁর প্রাপ্য টাকা তুলে নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ভূঁইয়াবাড় গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ হাতির প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি উপভোক্তা তালিকায় নাম রয়েছে। এ বিষয়ে তাঁকে পঞ্চায়েতের তরফে জানানোও হয়েছিল বলে দাবি। কিন্তু প্রদীপের দাবি, আর্থিক বছর শেষের পর প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হলেও তিনি বাড়ি তৈরির টাকা পাননি। এ নিয়ে গত ২৪ জুলাই বিডিও’র কাছে লিকিত অভিযোগ করেছেন প্রদীপ। তাঁর অভিযোগ, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কেউ বা কারা তাঁর টাকা তুলে নিয়েছে।
প্রদীপ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিকায় ১০৭ নম্বর উপভোক্তা হিসাবে আমার নাম রয়েছে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে আমি ওই টাকা এখনও পাইনি। আমার নামে আবাস যোজনার বাড়ির টাকা কে বা কারা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়েছে। তা আমি জানতেও পারিনি।’’ কাটমানিতে শরগরম জেলা রাজনীতিতে প্রদীপের তোলা ওই অভিযোগ ঘিরে নন্দপুর-বরাঘুনি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আলোড়ন পড়েছে।
পেশায় কৃষক প্রদীপ স্ত্রী, ছেলেমেয়েদের নিয়ে টালির চালের মাটির বাড়িতে বাস করেন। নাম থাকলেও বরাদ্দ টাকা না পাওয়ায় তৃণমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিজেপি’র যুব মোর্চার তমলুক জেলা সম্পাদক সুমন রায় বলেন, ‘‘প্রদীপের অভিযোগের বিষয়টি আমাদের কাছে আসার পরে খোঁজ নিয়ে দেখেছি। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির অজান্তেই অন্য একটি ব্যাঙ্কে তাঁর নামে আকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেখান থেকেই তাঁর জমা পড়া টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় শাসকদলের লোকেরাই জড়িত। আমরাও বিডিওর কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’
যে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রধান অবশ্য বিষয়টি জানেন না বলেই দাবি করেছেন। তৃণমূল পরিচালিত নন্দপুর- বরাঘুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রূম্পা পাল বর্মণ বলেন, ‘‘প্রদীপ হাতির নাম আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকায় রয়েছে। তবে উনি টাকা পাননি বা ওঁর বরাদ্দ টাকা অন্য কেউ তুলে নিয়েছে, এমন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।’’
গোটা ব্যপারে চণ্ডীপুরের বিডিও অভিষেক দাস বলেন, ‘‘বরাঘুনি গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকায় রয়েছে। তিনি টাকা পাননি বলে অভিযোগ এসেছে। তাঁর নামে অন্য কেউ টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ করেছেন। সেই মতো তদন্ত শুরু
করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy