প্রতীকী ছবি।
মান-অভিমান করে বসে গিয়েছিলেন ওঁরা। দলের ‘দুর্দিনে’ ওঁদের কেউ জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, কেউ জেলা সম্পাদক ছিলেন। লোকসভা ভোটের মুখে তাঁদের দলে ফেরাচ্ছে বিজেপি। দলের এক সূত্রে খবর, এমন নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকও করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা দলের মেদিনীপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিজেপির এক সূত্রে খবর, রবিবার খড়্গপুরের সাঁজোয়ালে বাবলু বরমের বাড়িতে ‘বসে যাওয়া’ নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন দিলীপ। বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সেখানে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সোমনাথ সিংহ, সুমন্ত মণ্ডল, রঞ্জিত আঢ্য প্রমুখ। বছর কয়েক আগে বাবলু বরম বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দলের জেলা কার্যালয়ে তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত। জেলা জুড়ে সভা ও মিছিলে দেখা যেত তাঁকে। পরে দলের থেকে দূরত্ব বাড়ান তিনি। সোমনাথ সিংহও এক সময়ে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সুমন্ত মণ্ডল ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক। রঞ্জিত আঢ্য ছিলেন মেদিনীপুরের এক বুথের সাধারণ সম্পাদক।
জেলা বিজেপির এক সূত্র মানছে, বিজেপির কয়েকজন জেলা নেতার উদ্ধত আচরণে বিরক্ত হয়ে এবং দলে যথেষ্ট গুরুত্ব না পেয়ে বাবলুরা দলের কর্মসূচি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। এতদিন তাঁদের সক্রিয় করতে সেভাবে উদ্যোগ দেখা যায়নি। তবে লোকসভা ভোটে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে মূল সংগঠনে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। শুধু সক্রিয়ভাবে দলে ফেরানোই নয়, ভোট মিটলে প্রয়োজনে তাঁদের দায়িত্বপূর্ণ পদও দেওয়া হবে বলে খবর। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্য কিছু বলতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। যাঁর বাড়িতে গিয়ে দিলীপ বৈঠক করেছেন, সেই বাবলু বরমও এ ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে চাননি। তবে বৈঠকের কথা অস্বীকার করেননি তিনি। বাবলু মানছেন, ‘‘দিলীপদা এসেছিলেন। আলোচনা হয়েছে।’’ দলের কাজে নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন কেন? বাবলুর মন্তব্য, ‘‘যা জানানোর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে কিছু বলব না।’’ সুমন্ত মণ্ডলও বলেন, ‘‘আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা দিলীপদার হয়ে প্রচার শুরু করেছি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বাংলার লোকসভা আসনগুলির মধ্যে মেদিনীপুরে এ বার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একদিকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, অন্য দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির এক সূত্রে খবর, কঠিন সময়ে যাঁরা বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন তৈরি করেছেন, এ বারের লোকসভা ভোটে তাঁদের ব্যবহার করার দাবি উঠছিল দলের অন্দরেই। রবিবারের বৈঠকে থাকা বিজেপির এক নেতা মানছেন, ‘‘আলোচনায় নিস্ক্রিয়দের বসে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ওই সব নেতা-কর্মীদের অবদান তো কম নয়। নেতৃত্ব অনুভব করেছেন, নিস্ক্রিয়রাই দলের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন!’’
এই কৌশল নিয়ে অবশ্য বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়ছে না তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির কটাক্ষ, ‘‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বিজেপির! কোনও কৌশল আর কাজে আসবে না। ভোটে ওরা পযুর্দস্ত হবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy