প্রতীকী চিত্র।
পইপই করে বারণ করেছিলেন রাজ্য নেতারা। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমেরও নিষেধ ছিল— সংগঠনের আসন্ন রদবদল চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোথাও জানানো চলবে না। সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং তা ঘোষণা করার দায়িত্ব কেবল শীর্ষ নেতৃত্বের।
রদবদল সম্পর্কে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চার নেতা-নেত্রী এবং জেলা যুব সভাপতিকে। দেখা গেল, কলকাতা থেকে ওই নেতারা ঝাড়গ্রাম ফেরার আগেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন তৃণমূল কর্মীরা। জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা উচিত হয়নি।’’
বিধানসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূলের দলীয় সংগঠন ঢেলে সাজতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেয় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দফতর। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় যান জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, জেলা চেয়ারম্যান বিরবাহা সরেন, জেলার দুই কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো ও উজ্জ্বল দত্ত এবং জেলা যুব সভাপতি শান্তনু ঘোষ। কলকাতার ওই বৈঠক শেষের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সমাজ মাধ্যমে পোস্ট শুরু হয়ে যায়। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক যুব সভাপতি সত্যকাম পট্টনায়কের ছবি পোস্ট করে তিনি পুনর্বহাল হয়েছেন দাবি করে অভিনন্দন জানান কর্মীরা। আবার নয়াগ্রাম ব্লকের নতুন সভাপতি শ্রীজীবসুন্দর দাস হয়েছেন জানিয়ে পোস্ট করা হয়। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে হেমন্ত ঘোষ নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বলে তাঁকেও সমাজ মাধ্যমে অভিনন্দন জানান কর্মীরা। কর্মীদের পোস্ট গুলি সমাজমাধ্যমে লাইক ও শেয়ারও হচ্ছে। তবে আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, ‘‘এলাকার জনপ্রিয় নেতারা দায়িত্ব পাওয়ায় আবেগেই অনেকে পোস্ট করে ফেলেছেন।’’
শুক্রবার রাজ্য থেকে সম্ভাব্য চূড়ান্ত তালিকা জেলা নেতৃত্বের কাছে পিডিএফ করে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই ফাইলের তথ্যও জেলা তৃণমূলের আইটি সেলের তরফে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। পরে অবশ্য সেই পোস্ট ডিলিট করা হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, সম্ভাব্য তালিকা দেখে রাজ্য নেতৃত্বকে শনিবারের মধ্যে জানাতে হবে। তারপরে চূড়ান্ত তালিকার অনুমোদন দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সমাজ মাধ্যমে নতুন ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। দলীয় সূত্রে খবর, পাঁচটি ব্লক তিনটি শহরে সভাপতি বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। মেদিনীপুর সদর ব্লকে তৃণমূল সভাপতি দিলীপ দে অপসারিত হয়ে নতুন সভাপতি হতে পারেন মুকুল সামন্ত। মুকুল তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কিন্তু দলীয়ভাবে ঘোষণার আগেই, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের কয়েকজন কর্মী সমাজমাধ্যমে লিখে দিয়েছেন, ‘মেদিনীপুর সদর ব্লকে তৃণমূলের নবনিযুক্ত সভাপতি মুকুল সামন্তকে অভিনন্দন।’ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘যাঁরা সমাজমাধ্যমে এ সব লিখছেন, তারা ঠিক করছেন না। দল ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy