এ ভাবেই চলছে মদ বিক্রি। —নিজস্ব চিত্র
লরি বা ট্রেনে জিনিস নিয়ে যাওয়ার একটা সাদামাঠা কন্টেনার। জাতীয় সড়কের পাশে পড়ে থাকা সেই কন্টেনারই রাতারাতি হয়ে গিয়েছে অনুমতিপ্রাপ্ত মদের দোকান! তা দেখে স্থানীয়দের কটাক্ষ, এ যেন ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল!
স্থানীয় সূত্রের খবর, তমলুকের রামতারকহাট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে কিছু দূরেই সরকারি অনুমোদিত মদের দোকান চালু হয়েছিল বেশ কয়েকবছর আগে। কিন্তু কিছু দিন আগে ওই এলাকায় কয়েকশো মিটারের মধ্যে আরও দুটি মদের দোকান চালু হয়েছে। এর মধ্যে একটি দোকান আসলে কন্টেনার। আর সেটি রয়েছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের একেবারেই পাশে। এতেই বিস্মিত স্থানীয়েরা।
সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, লাল রঙের ওই কন্টেনারকে ঘর হিসাবে ব্যবহার করে চলছে মদের দোকান। কন্টেনারের গায়েই মদ দোকান হিসাবে নাম লেখে রয়েছে। তার উপরেই সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান হিসাবে উল্লেখ করে ব্যানারও ঝুলছে। ওই এলাকায় নির্মীণের কাজ চলছে। সেখানের এক কর্মী বলেন, ‘‘এক সপ্তাহ আগে কন্টেনারে অস্থায়ীভাবে মদের দোকান চালু হয়েছে। এই ঘর তৈরির কাজ হলে স্থায়ীভাবে মদের দোকান চালু হবে।’’
দোকান চালুর জন্য বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী ঘর- অন্য সহ পরিকাঠামো ছাড়া কীভাবে ব্যবসা শুরু হল এবং তাতে আবগারি দফতর কীভাবে অনুমোদন দিল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি, জাতীয় সড়কের পাশে মদের খোলা নিয়ে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জেলা আবগারি সুপার মানিক সরকার এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘জরুরি ভিত্তিতে কিছু মদ দোকান চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি হয়তো তার মধ্যে পড়েছে। তবে মদের দোকান খোলার জন্য পাকা ঘরের প্রয়োজন, তেমন নিয়ম নেই। কেবল মাত্র যেখানে দোকান চালু হবে, তাঁর এক হাজার ফুটের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থান থাকা চলবে না।’’ তবে লরির কন্টেনারের মধ্যে মদ দোকান চালুর বিষয়টি যে তা জানা জানা নেই, সে কথা স্বীকার করেছেন আবগারি সুপার।
মদের দোকান খোলা নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ করেছেন গ্রামবাসীরা। এই পরিস্থিতিতে কন্টেনারে মদের দোকান খোলায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বল্লুক-২ গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা রণজিৎ গুছাইত অবশ্য বলেন, ‘‘ওই মদের দোকান চালুর জন্য পঞ্চায়েতে আবেদন করেছিল। কিন্তু মদ দোকানের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।’’
কন্টেনারে মদের দোকান চালুর কথা স্বীকার করে সেটির মালিক অশোক মাপারু বলেন, ‘‘ঘর তৈরি করার পরে মদ দোকান চালুর কথা বলেছিল আবগারি দফতর। ঘর তৈরি চলছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা তৈরি হয়ে যাবে। তাই এখন অস্থায়ীভাবে দোকান চালু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy