ফলাফলে দেখা গেল ১৯টি আসনেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করেছেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। —প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে রাজ্যের শাসক শিবিরকে পরাস্ত করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। এ বার সেই মডেলের জয় হল হলদিয়া বন্দরের ডক ইনস্টিটিউটের নির্বাচনেও তৃণমূল এবং বিজেপিকে একেবারে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিল বাম-কংগ্রেস। ডক ইনস্টিটিউটের ১৯টি আসনে একচেটিয়া ভাবে জয় ছিনিয়ে নিল জোট। শনিবার বিকেলে ভোটের ফলপ্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত জোট শিবির। আসন্ন সমস্ত নির্বাচনে এই জোট কার্যকরী হবে বলে আশাবাদী জোটপন্থী নেতারা।
হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউট আদতে হলদিয়া বন্দরের কর্মচারীদের পরিচালিত সংগঠন। প্রতি ২ বছর অন্তর এখানে নির্বাচন হয়। শুক্রবার টানটান উত্তেজনার মাঝে ওই নির্বাচন শেষ হয়।
নির্বাচনে একটি প্যানেল ছিল তৃণমূলের (গতবার এই গোষ্ঠী বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল।), অন্যটি বিজেপির ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে ক্যালকাটা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়ন (সিটু), এইচএমএস (নিরপেক্ষ ইউনিয়ন), কংগ্রেসের আইএনটিইউসি’র ক্যালকাটা-হলদিয়া পার্মানেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এবং সিটুর এআইটিইউসি’র এইচপিটিই এই ৪টে সংগঠনের জোট। ১৯টি আসনের জন্য মোট প্রার্থী ছিল ৫৮। যার মধ্যে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা ১। মোট ভোটার ছিলেন ৭৩৭ জন। তবে ভোট পড়েছে ৬৯৪ জন।
শনিবার ভোটগণনা শুরু হয় হলদিয়া টাউনশিপের বিবি ঘোষ অডিটোরিয়ামে। ফলাফলে দেখা যায় ১৯টি আসনেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করেছেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। ক্যালকাতা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়নের ডেপুটি সেক্রেটারি বিমান কুমার মিস্ত্রী বলেন, “সাগরদিঘি মডেলকে কাজে লাগিয়েই তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী গোষ্ঠী একজোট হয়ে লড়াই চালিয়েছি। তার ফলও আমরা পেয়েছি। রাজ্য ও কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দুই দল ভোটে জেতার অনেক চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী ধরাশায়ী হয়েছে।”
তবে এই হারে ভেঙে পড়ছেন না তাঁরা বলে জানান বিজেপির ভারতীয় মজদুর ইউনিয়ানের নেতা প্রদীপ বিজলী। তাঁর কথায়, “হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটে আমাদের মোট সদস্য সংখ্যা ৫০। তার পরেও ভোটের ফলাফলে দেখা গেল বিএমএস পেয়েছে ২৩০টি ভোট। এটাই আমাদের নৈতিক জয়।” তিনি আরও বলেন, “এই নির্বাচনে তৃণমূল বরং তাদের সদস্যদের ভোট ধরে রাখতে পারেনি। তারা বিপুল ভোটে পরাস্ত হয়েছেন। এতে আমরা খুশি।”
যদিও তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউই। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি চন্দন দে’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ব্যস্ত রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy