শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র
দিন কয়েক আগেই শহরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। শহরে বারবার গুলি চলার পিছনে তৃণমূল মাফিয়ারাজ কায়েম করতে চাইছে বলে দাবি করেছিলেন দিলীপ। এমন মন্তব্যের যোগ্য জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে তৃণমূলকর্মীরা। আশা ছিল, গুলিতে নিহত যুব নেতার স্মরণসভায় এসে সেই জবাব দেবেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দু না আসতে পারায় হতাশ তৃণমূল কর্মীরা!
বুধবার খড়্গপুরের মালঞ্চয় তৃণমূলের যুব নেতা নিহত গৌতম চৌবের স্মরণসভা ছিল। ২০০১ সালের এই ১১ সেপ্টেম্বর দুষ্কৃতীদের গুলিতে এই মালঞ্চতেই খুন হতে হয়েছিল প্রয়াত সিপিআই সাংসদ নারায়ণ চৌবের বড় ছেলে গৌতমকে। তার পরে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতি বছর শহরে এই দিনটি স্মরণ করে তৃণমূল। এ বার গৌতমের স্মরণসভায় শুভেন্দুকে পাশে চেয়েছিলেন তৃণমূলের শহরের নেতা-কর্মীরা। শুভেন্দু সম্মতি জানানোয় শুরু হয়েছিল প্রচার। কিন্তু তৃণমূল সূত্রের খবর, অনিবার্য কারণ বশত এ দিন রেলশহরে উপস্থিত থাকতে পারেননি শুভেন্দু। শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক তৃণমূলকর্মীর কথায়, “একসময়ে মাফিয়ারা গৌতমদার প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। আর এখন দিলীপ ঘোষ বলছেন, তৃণমূল মাফিয়ারাজ কায়েম করছে। এর জবাব দেওয়ার উপযুক্ত মঞ্চ এই গৌতমদার স্মরণসভা। শুভেন্দুদা আসতে না পারায় আমরা সত্যিই হতাশ।”
রেলশহর পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নিয়ে বারবার শহরে এসেছেন শুভেন্দু। এ দিন শুভেন্দু উপস্থিত না থাকতে পারার খবরে জমায়েত আশানুরূপ হয়নি এ দিন। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী আসতে পারেননি। তাই উনি থাকলে যে জমায়েত আশা করেছিলাম সেটা হয়নি।’’ পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “শুভেন্দুদা বিশেষ কারণে আসতে পারেননি। একটু তো খারাপ লাগছেই।” শহরের আরেক নেতা দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “স্মরণসভা প্রতিবারই হয়। শুভেন্দু অধিকারী আসতে না পারায় প্রভাব তো পড়েছেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy