বামআমলে হাতে খড়ি। তারপর প্রভাব ও প্রসার বাড়ে তৃণমূল জমানায়। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়াটাই তাঁর পেশা বলে অভিযোগ। চাকরি দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও একাধিকবার তাঁর নাম নিয়েছেন। মোহনপুরের সেই কালীপদ পতি ওরফে কালী পতি এখনও এলাকাতেই আছেন। চাকরি হারিয়ে টাকা ফেরত চাইতে আসছেন অনেকে। তাঁদের টাকা ফেরানোর আশ্বাসও দিচ্ছেন কালীপদ। এলাকায় বহু চর্চিত, ‘চাকরি পেতে গেলে কালীর শরণাপন্ন হতে হবে’। শুধু এলাকায় নয়, মেদিনীপুরের তিন জেলাতেই এ বিষয়ে তাঁর নামডাক রয়েছে। টাকা নিয়ে অনেককেই নাকি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। তা সে শিক্ষকতা হোক বা সেনাবাহিনী কিংবা রেলের চাকরি। সূত্রের দাবি, নিজে কাজ করার পাশাপাশি কালীপদর শাগরেদ ছিল আর ৩৫ জন। ২০২২ সালে শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই, ইডির ধরপাকড় চলাকালীন তিনি বেশ কিছু দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)