ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের বিলাসবহুল ডিলাক্স ঘর। নিজস্ব চিত্র ।
শীতের ঝাড়গ্রামে ভোল বদলাল পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম পরিচালিত ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের। সরকারি এই অতিথিশালার ঘর ভাড়া এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন কয়েকটি ডিলাক্স ও সুপার ডিলাক্স ঘরও চালু হয়েছে।
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামে পর্যটনের পালে হাওয়া লেগেছে। শীতের ঝাড়গ্রামে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসছেন। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে কটেজ় ও বিলাস বহুল ঘরের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাতেও অবশ্য সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। সরকারি এই অতিথিশালার সব ঘরই প্রায় অনলাইনে অগ্রিম বুকিং হয়ে যাচ্ছে। তবে কলকাতার সাগ্নিক বসাক, মণিকা পুততুণ্ডের মতো একাংশ পর্যটক বলছেন, ‘‘আগের তুলনায় ঘর ভাড়া অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সবাই অত টাকা দিয়ে থাকতে পারবেন না।’’ গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের ছ’টি কটেজ়ের ১২টি ঘর ছিল। প্রতিটি ঘরের ভাড়া কর সমেত ১৮৮৫ টাকা ছিল। আগে সব ঘরেরই এক দর ছিল।
অতিথিশালাটির পুনর্গঠনের পরে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চারটি কটেজ়ের ৮টি ঘরের প্রতিটির ভাড়া ধার্য হয়েছে কর সমেত ২৯৪০ টাকা। আরও চারটি কটেজের ৮টি নতুন ডিলাক্স ঘরের প্রতিটির ভাড়া কর সমেত ৩৫০০ টাকা। দোতলায় তিনটি নতুন ডিলাক্স ঘরের প্রতিটির ভাড়া কর সমেত ধার্য হয়েছে ৩৭০০ টাকা। একতলায় তিনটি নতুন সুপার ডিলাক্স কটেজ় হয়েছে। প্রতিটির ভাড়া কর সমেত ৪১০০ টাকা। একতলাতেই ৪৭০০ টাকার একটি চার শয্যার সুপার ডিলাক্স ঘরও হয়েছে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ঝাড়গ্রামের মল্লদেব প্রাসাদের বাইরে রাজ পরিবারের জমিতে চালু হয় পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সটি। সরকারি এই অতিথিশালার সব ঘরই অগ্রিম বুকিং থাকছে। বিশেষত, সপ্তাহান্তে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। করোনা কালেও ঝাড়গ্রামে ভাল সংখ্যক পর্যটক আসছেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সব ঘর অগ্রিম বুকিং থাকায় স্পট বুকিং দেওয়া সম্ভব হয়নি। টুরিস্ট কমপ্লেক্সের ম্যানেজার নিমাই ঘটক জানালেন, ঘর ভাড়া বাড়লেও অগ্রিম বুকিং আগের মতোই হচ্ছে। সব ঘরই বাতানুকূল। সুপার ডিলাক্স ঘরগুলিতে ফ্রিজ়, চায়ের সরঞ্জাম সহ বিশেষ কিছু পরিষেবার ব্যবস্থাও রয়েছে। বেশি সংখ্যক পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই অতিথিশালার ডাইনিং হলটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। ডাইনিং হলটি আরও প্রশস্ত করা হচ্ছে। আপাতত অন্য একটি ঘরে অস্থায়ী ভাবে ডাইনিং হল করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের নিজস্ব গাড়ির চালকদের থাকার জন্য ৬ শয্যার নতুন ডর্মিটরি তৈরির কাজও চলছে। শনি, রবি বুধবার সপ্তাহে তিনদিন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে স্থানীয় শিল্পীদের লোকংস্কৃতির অনুষ্ঠানও হয়।
ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন কর্মকার বলেন, ‘‘বিলাসবহুল সরকারি অতিথিশালাটি ছাড়াও ঝাড়গ্রাম শহরে ও আশেপাশের এলাকায় কম দরেও অনেক বেসরকারি হোটেল ও হেম স্টে রয়েছে। ফলে পর্যটকদের থাকার সমস্যা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy