স্বজনহারা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ঝাড়গ্রামে জেলা প্রশাসনের। —নিজস্ব চিত্র।
বজ্রপাতে মৃত চার জনের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিল জেলা প্রশাসন। গত সোমবার দুপুরে বজ্রপাতের কারণে লালগড় থানা এলাকায় এক দম্পতি এবং বেলিয়াবেড়া থানা এলাকায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের তরফে ওই চার জনের পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। স্বজনহারা পরিবারগুলিকে এ দিন জেলাশাসকের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। সেখান থেকেই মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৮ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল ছাড়াও জেলাশাসকের দফতরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা।
বিরবাহা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে এই পদক্ষেপ। তিনি বলেন, “ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিলাম। যাতে তাঁদের ভবিষ্যত কিছুটা সুগম হয়।”
সোমবার দুপুরে চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন লালগড় থানার শুটপিপুল গ্রামের এক দম্পতি। সেই সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় লাল্টু পূজারী (৩৬) এবং তাঁর স্ত্রী কাজল পূজারীর (৩২)। দম্পতির মৃত্যুতে তাঁদের দুই সন্তান কার্যত অসহায় হয়ে পড়ে। দু’জনেই স্কুল পড়ুয়া। কেউই এখনও মাধ্যমিকের গণ্ডি পার করেনি। পুত্র দশম শ্রেণিতে এবং কন্যা অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত। বৃহস্পতিবার তাদের হাতে ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। তাদের জ্যাঠা তপন পূজারী জানিয়েছেন, সোমবারের ঘটনায় লাল্টুর দুই সন্তানই অসহায় হয়ে পড়েছিল। সরকারের তরফে পাওয়া আর্থিক সহায়তা তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে অনেকটাই সাহায্য করবে।
গত সোমবারই বেলিয়াবেড়া থানা এলাকায় দু’টি পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। চাষের জমি থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল লাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিহিরকুমার মহাপাত্রের (৪০)। খাল থেকে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল চণ্ডিয়াস গ্রামের বাসিন্দা প্রফুল্ল মান্নার (৪৯)। বৃহস্পতিবার মিহিরের স্ত্রী এবং প্রফুল্লের মেয়ের হাতে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা তুলে দেয় জেলা প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy