মঙ্গলবারও দিনভর অটো চলল না রেলশহরে। নিজস্ব চিত্র
দল নীতিগত ভাবে বনধ, ধর্মঘটের বিরোধী। তবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি পরিচালিত অটো অপারেটর্স সংগঠনের ডাকে অটো ধর্মঘট অব্যাহত রেলশহরে।
মঙ্গলবার ছিল ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন। এ দিন ধর্মঘটীদের মঞ্চে হাজির হলেন তাঁদের সংগঠনের সভাপতি তথা তৃণমূলের জেলা নেতা দেবাশিস চৌধুরী। তিনি শহরের ই-রিকশা সংগঠনের কার্যকরী সভাপতিও। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে তৃণমূল ও তাঁর শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি ধর্মঘট সমর্থন করে না সেখানে এমন কর্মসূচির কারণ কী? দেবাশিসের ব্যাখ্যা, “এটা কোনও শিল্প বা সাধারণ ধর্মঘট নয়, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবিতে শুধুমাত্র অটো ধর্মঘট। এই ধর্মঘটকে আমি সমর্থন করছি। অবৈধ টোটোর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক নজরদারির অভাব রয়েছে।” যদিও এই ধর্মঘটে ক্ষুব্ধ জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি নির্মল ঘোষ। তাঁর কথায়, “ওই অটো-টোটো ইউনিয়ন আমাদের আইএনটিটিইউসি পরিচালিত কি না, দেখতে হবে। আমরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করি না। আমি নিজে কলকাতা চলে আসায় বিষয়টি দেখতে পারিনি। মহকুমাশাসককে হস্তক্ষেপ করতে বলেছি।”
ধর্মঘটীদের নেতা চাইছেন হস্তক্ষেপ করুক প্রশাসন। জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতিও তাই চান। আর ভোগান্তির শিকার হওয়া সাধারণ মানুষ! সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠছেন তাঁরা। কী করছে প্রশাসন? খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “আমি টোটো সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডেকে আলোচনা করেছি। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় দেখছি। বুধবার অটো সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডেকেও আলোচনা করব ঠিক করেছি।” সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় স্তরে কোনও তৃণমূল নেতা অবরোধ, ধর্মঘটে শামিল হলে হস্তক্ষেপ করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৎপর হয়েছে প্রশাসন। কোনও ক্ষেত্রে উঠেছে অবরোধ। ধর্মঘট। রেলশহরের অটো ধর্মঘটের ক্ষেত্রে কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। এ দিন পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে ধর্মঘটে শামিল অটো চালকদের সঙ্গে প্রশাসনিক কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। অটো অপারেটর্স সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি সমীর গুহ বলেন, “আইএনটিটিইউসি পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও আমাদের রুটি-রুজি জন্য বাধ্য হয়ে এই ধর্মঘট করছি। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। অবৈধ টোটো নিয়ন্ত্রণে যতক্ষণ প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করবে ততক্ষণ ধর্মঘট চলবে।”
আপনাদের অটো-টোটো ইউনিয়ন কি আইএনটিটিইউসি পরিচালিত? দেবাশিসের বক্তব্য, ‘‘অবশ্যই। অনেকদিন ধরেই।’’ আন্দোলনকে সমর্থনের কারণ ব্যাখ্যা করে দেবাশিস জানান, একটা সময় টোটো বেড়ে চলায় ৩৪৮টি টোটোকে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তক্রমে অস্থায়ী নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও শহরে কী ভাবে বৈধ নম্বরহীন টোটো বেড়ে গেল? শহর জুড়ে বৈধ নম্বরহীন টোটো চলার অভিযোগ তুলে সোমবার থেকে ধর্মঘট পালন করছে অটো অপারেটর্স ইউনিয়ন। সেই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে বৈধ নম্বর থাকা টোটোগুলিও।
টানা দু’দিন অটো নেই। সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে দিনের ব্যস্ত সময়ে। সন্ধ্যার পরে সরস্বতী পুজোর বাজার করে ফেরার পথেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা করতে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে শহরবাসীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy