প্রতীকী ছবি।
২৪ ঘণ্টা আগে জেলার বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে দলে ‘উইকেট পড়া’র কথা বলেছিলেন। এ বার নিজের ‘গড়ে’ বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলের অভিমানীদের মানভঙ্গের কথা বললেন। সেই সঙ্গে দলের ‘এদিকে-ওদিকে থাকা কর্মীদে’র ডেকে প্রয়োজন বুঝে ‘ওষুধ’ দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা চিকিৎসক মানস ভুঁইয়া!
মঙ্গলবার বিকেলে সবংয়ের ভেমুয়ায় এক বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন সবংয়ের ভূমিপুত্র মানস। ছিলেন বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাজরা বিবি, কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স প্রমুখ। এ দিন দলের অভিমানীদের বুঝিয়ে দলে ফেরানোর ডাক দেন মানস। তবে এর পরেও যাঁরা এদিকে-ওদিকে ঘোরাফেরা করছে তাঁদের জন্য কী পদক্ষেপ করতে হবে তা-ও এ দিন কর্মীদের বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ। মানস বলেন, “যাঁরা এখনও দলের বাইরে এদিক-ওদিক বাঁশগাছের ডগায় চড়ে নিমপাতার কাঠি দিয়ে দাঁত মাজছেন তাঁদের ডাকুন। জিজ্ঞাসা করুন, কোন দিকে যাবি? পদ্মফুলের চাষ করবি, কাস্তে হাতুড়ি দিয়ে ধান কাটতে যাবি নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে তাঁকে নমস্কার করবি? তারপরে ওষুধ তো আমাদের হাতে রয়েছে। সেই ওষুধ-টষুধও দেওয়া যাবে!”
বিজয়া সম্মিলনীর প্রথমেই সবংয়ের পূর্বাঞ্চলের মোহাড়, বিষ্ণুপুর, ভেমুয়ার মতো এলাকার সামাজিক অবক্ষয়ের দিকটি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মানস। এলাকায় মদ্যপদের উৎপাত বাড়ছে বলেও অভিযোগ তোলেন। এ ক্ষেত্রে ভোটের পরোয়া না করে কড়া হাতে পান দোকানে মদের বিক্রি থেকে মদ্যপানে প্রতিবাদ জানান তিনি। এগিয়ে আসতে বলেন মহিলাদের। কর্মীদের উদ্দেশে মানস বলেন, “মদের বেআইনি কারবার বন্ধ করতে হবে। এর জন্য ভোটের পরোয়া করবেন না। মদ্যপদের দলের কর্মী করা যাবে না। মাতালদের ভোটের দরকার নেই।” এর পরেই মা-বোনেদের হাতে ১০ হাজার ঝাঁটা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy