Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Help Line

তথ্যমিত্রের ধাঁচে আজ থেকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র 

‘তথ্যমিত্র’ কেন্দ্রের ধাঁচেই এ বার চালু হচ্ছে নতুন এই সহায়তা কেন্দ্র। এই কেন্দ্র রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই কেন্দ্র চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২০ ০১:১৭
Share: Save:

বিভিন্ন দফতরের অনলাইন পরিষেবা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আজ, শুক্রবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে চালু হচ্ছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ (বিএসকে)। জেলায় সব মিলিয়ে ১৫৭টি বিএসকে চালু হবে। শুক্রবার প্রথম পর্যায়ে ২৫টি বিএসকে চালু হওয়ার কথা। জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত সাঁতরা মানছেন, ‘‘শুক্রবার জেলায় বেশ কয়েকটি বিএসকে চালু হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ জেলায় ২১টি ব্লক ও ৩টি মহকুমা। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে ব্লক, মহকুমা এবং জেলাস্তরে একটি করে বিএসকে চালু হচ্ছে।

‘তথ্যমিত্র’ কেন্দ্রের ধাঁচেই এ বার চালু হচ্ছে নতুন এই সহায়তা কেন্দ্র। এই কেন্দ্র রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই কেন্দ্র চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নির্দেশ জেলায় এসে পৌঁছয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা সদরে একটি সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। জেলার ৩টি মহকুমা সদরে এবং ২১টি ব্লক সদরেও একটি করে সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। পাশাপাশি, জেলার বিভিন্ন এলাকার ৯২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (পিএইচসি) ওই সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। জেলার এলাকার ৪০টি গ্রামীণ গ্রন্থাগারেও ওই সহায়তা কেন্দ্র থাকবে। সেই মতোই যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হচ্ছে। জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ধাপে ধাপে পশ্চিম মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে ১৫৭টি বিএসকে চালু হবে।’’

প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্রে দু’জন করে কর্মী থাকবেন। ইতিমধ্যে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সহায়তা কেন্দ্রপিছু দু’টি কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার-সহ ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা থাকছে। প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য কেন্দ্র পিছু ৯৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ হয়েছিল। বছর ঘুরলে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই কেন এমন কেন্দ্র চালুর ভাবনা? বিভিন্ন মহল মনে করছে, তথ্যমিত্র কেন্দ্রগুলি রয়েছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে। আর এ ক্ষেত্রে সহায়তা কেন্দ্রগুলি থাকছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে। এই কেন্দ্র চালুর ফলে নিজস্ব প্রকল্প, পরিষেবাগুলির নিবিড় প্রচার করা সহজ হবে রাজ্যের। সরকারি পরিষেবাগুলি দ্রুত মানুষকে পৌঁছনোও সম্ভব হবে।

২০০৬ সালে জাতীয় ই-গভর্ন্যান্স পরিকল্পনার আওতায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছতে এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছিল তথ্যমিত্র কেন্দ্র। প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে সকলের হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ নেই। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। অথচ, এখন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন অনলাইনে করতে হয়। বিভিন্ন দফতরের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যও থাকে। অনেকে মনে করছেন, তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্যই এই ধরনের সহায়তা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমলও বলেন, ‘‘এই কেন্দ্র চালুর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। এলাকার কাছেই অনলাইন পরিষেবা মিলবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Help Line Bengal Information Friendly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy