ভাঙা হয় এই বাড়ির অংশ। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে দিন কয়েক আগেই কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট। সম্প্রতি হাইকোর্ট তমলুক শহরের একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো শুক্রবার তমলুকের আবাসবাড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিজিৎ মাইতির বাড়ির একাংশ শুক্রবার ভাঙার কাজ শুরু করে পুরসভা। যদিও অভিজিৎবাবু লিখিত ভাবে পুর কর্তৃপক্ষকে জানান, তিনি নিজের উদ্যোগেই বাড়ির বাকি অংশ ভেঙে দেবেন। এরপর পুরসভা শর্তসাপেক্ষে ওই আবেদন মঞ্জুর করে এ দিনের মতো ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেয়।
আবাসবাড়ির বাসিন্দা অভিজিৎবাবু মাইতি পেশায় আইনজীবী। অভিজিৎবাবুর পড়শি কমল বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন, তাঁর জায়গার কিছুটা দখল করে অভিজিৎবাবু বাড়ির একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মাণ করেছেন। পুরসভার অনুমতিও নেননি তিনি।
ওই মামলায় সম্প্রতি হাইকোর্ট অভিজিৎবাবুর বাড়ির বেআইনি ভাবে নির্মিত অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। এরপরেই শুক্রবার ওই বাড়ির বেআইনি ভাবে অংশ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘অন্যের জায়গা দখল করে নির্মাণের অভিযোগ ঠিক নয়। পুরসভার অনুমতি না নিয়ে একটি শৌচাগার তৈরি হয়েছিল। তিনতলার একটি অংশে টিনের চাল ছিল। পুরসভার অনুমতি না নিয়ে সেই টিনের চালের ছাদ ঢালাই করা হয়।’’ তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন জানান, কমল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির জায়গা দখল করে অভিজিৎবাবু তাঁর বাড়ির একাংশ নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিজিৎবাবু পুরসভার কাছ থেকে তাঁর বাড়ির তিন তলার একটি অংশের নকশা অনুমোদন না করে নির্মাণ করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অভিজিৎবাবুর বাড়ির বেআইনি নির্মাণের অংশ ভাঙার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, বেআইনি নির্মাণের অংশ ভাঙা মাঝপথে বন্ধ করা হল কেন? পুরপ্রধান বলেন, ‘‘অভিজিৎবাবু এ দিন লিখিত ভাবে আমাদের জানিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ওই অংশ ভেঙে দেবেন। পুরসভার নজরদারিতে ওই কাজ চলবে। পুরসভার তরফে ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy