স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক মানছেন, “জরুরি ভিত্তিতে মশাকে বাগে আনতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি এক সময় নাগালের বাইরে চলে যাবে।” ফাইল চিত্র।
গত আড়াই মাসে ঘাটাল মহকুমায় ১০৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ তথ্য খোদ স্বাস্থ্য দফতরের।
জুলাই মাসে শেষ থেকে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এনএসওয়ান (ম্যাক অ্যালাইজা) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সপ্তাহে দু’দিন এই ডেঙ্গি নির্ণয় পরীক্ষা হয় হাসপাতালে। সেখানেই প্রতি গড়ে পাঁচ জনের মধ্যে একজনের শরীরে ওই জীবাণু মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত আড়াই মাসে এই হাসপাতালে জ্বরে ৪৭৭ জনের এনএসওয়ান (ম্যাক অ্যালাইজা) পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনের শরীরে মিলেছে ডেঙ্গির জীবাণু। বাকি যে আটজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা অবশ্য বেসরকারি ক্নিনিক থেকে রক্ত পরীক্ষা করিয়েছিলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, “আগের চেয়ে পরীক্ষা বেশি হচ্ছে। এর ফলে সঠিক সংখ্যা পেতে সুবিধা হচ্ছে। প্রচারে সাফল্য মিলেছে। তবে ঘাটালে ডেঙ্গির পরিবেশ রয়েছে।’’ তিনি জানান, প্রচারের পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পুরসভা ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।” স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক মানছেন, “জরুরি ভিত্তিতে মশাকে বাগে আনতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি এক সময় নাগালের বাইরে চলে যাবে।”
ঘাটাল মহকুমায় পাঁচটি ব্লক, পাঁচটি পুরসভা রয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় বছরভর সক্রিয় স্বাস্থ্য দফতর,পুরসভা গুলি। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে একাধিক কমিটি রয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নানা কর্মসূচি হচ্ছে। কিন্তু মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারি ওই কমিটিগুলি কতটা আন্তরিক নয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘাটাল শহর সহ ক্ষীরপাই, খড়ার, রামজীবনপুর, চন্দ্রকোনা পুর এলাকার বিভিন্ন অংশে ঘুরলে দেখা যাবে, যত্রতত্র জল ভর্তি ডাবের খোল পড়ে রয়েছে। টায়ারের ভিতরেও মশা ভনভন করছে। পুরসভার টিমের কোনও নজর নেই। মশা দাপট ঠেকাতে সরকারি কর্মসূচিতে নজরদারির অভাবকেই দায়ী করছে স্বাস্থ্য দফতর। যদিও ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলছেন, “ঘাটাল শহরে মশা নিয়ন্ত্রণে পুরসভা উদ্যোগী। পুজোর জন্য কর্মসূচি বন্ধ ছিল। ফের তৎপরতা শুরু করা হবে।” একই বক্তব্য অন্য পুরসভার চেয়ারম্যানদেরও।
গ্রাম-গঞ্জের পরিস্থিতি এবার আরও খারাপ। চলতি মরসুমে পঞ্চায়েত এলাকায় ঝোপ, জঙ্গল পরিষ্কারে নজর দেয়নি পঞ্চায়েত গুলি। একশো দিনের প্রকল্পে আগে ওই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ হতো। এবার ওই প্রকল্পে এই সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই ভাবে নজর দেওয়া হয়নি গ্রামীণ হাট,নালা-নর্দমা গুলিতেও। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা, কোন এলাকায় কতজন জ্বরে আক্রান্ত, বাড়ির পরিবেশ ডেঙ্গি মশার অনুকূল কি না, এ সবের দিকেও পঞ্চায়েতগুলির কোনও নজর নেই বলে অভিযোগ। কিছু এলাকায় গাপ্পি মাছ ছেড়ে মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হয়েছে ব্লক প্রশাসন। এতটুকুই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy