Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শৌচাগারে অমর্ত্যর হোর্ডিং ঘিরে বির্তক

সম্প্রতি শ্রীরাম সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করায় বিজেপি নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে।

এই হোর্ডিং ঘিরেই বিতর্ক।

এই হোর্ডিং ঘিরেই বিতর্ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৪
Share: Save:

রাজনীতিবিদদের হাতে পড়ে ‘শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে বিতর্ক কম হচ্ছে না। রামায়ণের নায়ক হিসেবে শ্রীরাম যতটা জনপ্রিয় ছিলেন, এখন রাজনীতির টানাপড়েন তাঁর সেই জনপ্রিয়তা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শ্রীরাম নিয়ে মন্তব্য করে ইদানীং কয়েকজন বুদ্ধিজীবী বিজেপির ‘তোপের মুখে’ পড়েছে।

সম্প্রতি শ্রীরাম সংস্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করায় বিজেপি নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। যার পাল্টা হিসাবে রাজ্যের শাসক দলের তরফে পাল্টা শ্রীরাম নিয়ে অমর্ত্য সেনের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের সর্বত্র হোর্ডিং, ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। শিল্পশহর হলদিয়াতেও পুরসভার পক্ষ থেকে এমন হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। আর তেমনই একটি হোর্ডিং নিয়ে গোল বেধেছে। পুর এলাকায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি শৌচাগারের উপরে ওই হোর্ডিং দেওয়ায় নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদকে অসম্মান করা হয়েছে বলে সরব স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শিক্ষাবিদ, এমনকী বাম-বিজেপিও। যদিও কাদের পক্ষ থেকে এই হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে তা হোর্ডিংয়ে নির্দিষ্টভাবে লেখা নেই। তবে নাগরিক সমাজের তরফে তা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেশ করা আছে। যদিও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘নাগরিক সমাজ মানে কী? নাগরিক সমাজে কারা রয়েছেন? সেখানকার সদস্যদের রুচিবোধ ও শিক্ষার মান কী? তাঁরা যদি প্রকৃত রুচিশীল মানুষ হতেন তা হলে একজন বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদ্র বক্তব্য রয়েছে এমন হোর্ডিং শৌচালয়ের মাথায় টাঙাতেন না।

হলদিয়ার বাম নেতা শ্যামল মাইতির বক্তব্য, ‘‘নোবেল জয়ীর বক্তব্য যেখানে ঠাঁই পেয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে বাংলার শিক্ষিত রুচিশীল সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন মানুষের দুর্দিন ঘনিয়ে আসছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য মনীষীদের পাশে ঠাঁই পাচ্ছে, আর অমর্ত্য সেনের স্থান শৌচালয়ে!’’ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মানস কুমার রায়ের বক্তব্য, প্রত্যেক মানুষের মতামতের মধ্যে ভিন্নতা থাকতেই পারে। তবে তার মানে এটা নয় যে, বিশ্ববিখ্যাত বা সম্মানীয় মানুষের বক্তব্য উল্টোপাল্টা জায়গায় রাখতে হবে। সাম্প্রতিক সংস্কৃতিতে এটি রুচিহীনতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আসলে নাগরিকসমাজের নাম নিয়ে তৃণমূলের ক্যাডাররাই এই কাজ করেছে।’’

যদিও পুরসভার পক্ষ থেকেই ওই হোর্ডিং লাগানোর হয়েছে স্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর নমিতা দাস পাত্র। তাঁর দাবি, ‘‘বিষয়টি এখনও নজরে আসেনি। তবে শৌচালয়ের ওপরে ওই হোডিং দেওয়া কখনওই উচিত হয়নি। হোর্ডিং ওখান থেকে সরাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Hoarding Amartya Sen Haldia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy