Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Cutmoney

ভাইকে টেনে দেবকে দুর্নীতি খোঁচা হিরণের 

এদিন বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর একশো পর্বের 'মন কি বাত' শোনানোর ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। মাদারপুর গ্রামে হিরণের সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস।

Hiran Chatterjee seeing maan ki baat

‘মন কি বাত’ শুনতে মাদারপুর গ্রামে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ০৮:৪৮
Share: Save:

আবার বিজেপির অভিনেতা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নিশানায় দেব। বিঁধলেন তৃণমূলকেও। এবার কাটমানি প্রসঙ্গে টেনে আনলেন দেবের জেঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারীর করা অভিযোগকেও।

রবিবার মেদিনীপুর শহরের অদূরে কেরানিচটির মাদারপুর গ্রামে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ত্রিপলে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একশো পর্বের 'মন কি বাত' শোনেন খড়্গপুরের বিধায়ক। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, "আমাদের মেগাস্টার সুপারস্টার দীপক অধিকারীও চুরির সঙ্গে যুক্ত। তিনি নিজেকে ভদ্র, সজ্জন হিসাবে প্রকাশ করেন।" তাঁর অভিযোগ, "পুরো ঘাটাল লোকসভায় ওঁর (দেব) দলের লোকেরা বলেন, সাংসদ দীপক অধিকারী রুল জারি করেছেন। সরকারি যেকোনও প্রকল্প বা কাজ করতে গেলে ৩০ শতাংশ কমিশন যেন তাঁর ঘরে পৌঁঁছে যায়। ওঁর কিছু এজেন্ট আছে পুরো ঘাটাল জুড়ে। এই কাটমানি নিয়ে উনি সিনেমা করছেন, বাড়ির পর বাড়ি কিনছেন, জায়গা, ফ্ল্যাট কিনছেন।’’

তিনি বলেন, "ওঁর ভাই বিক্রম অধিকারী পর্যন্ত বলছেন বাড়ি করার নামে তাঁর টাকা আত্মসাৎ করে কাটমানি নেওয়া হয়েছেন। যাঁরা কর্মী আছেন, তাঁরা ৫০ বা ১০০ শতাংশ নিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু ৩০ শতাংশ যাচ্ছে ওঁর (দেব) কাছে। এটা আমি বলছি না, তৃণমূলের নেতা কর্মীরাই বলছেন। তাঁরা সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েও সুরাহা পাননি।" তৃণমূলকে বিঁধে তাঁর দাবি, "দুর্নীতি হল তৃণমূলের সংক্রামক রোগ। সেখান থেকে কেউ বাদ নেই। যা নির্লজ্জতার পর্যায়ে পৌছে গিয়েছে। আসলে চোরের অপবাদ না থাকলে তৃণমূল করেও সার্থকতা থাকবে না, ব্যাপারটা এরকমই।’’

এর আগেও বিভিন্ন সময়ে দেবের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন হিরণ। এদিন দেবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। হোয়াটস অ্যাপ মেসেজেরও উত্তর দেননি তিনি। তবে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, "দেবের সততা নিয়ে যদি হিরণ প্রশ্ন তোলেন তাহলে সেটা হবে এই শতকের সবচেয়ে সেরা পরিহাস। দেবকে উনি (হিরণ) যতই আক্রমণ করুন, দেব কোনও প্রত্যুত্তর করছেন না। এতেই তিনি পাগলের মতো কুৎসিত প্রলাপ বকতে আরম্ভ করছেন।" অজিতের দাবি, "ঘাটালের এমপি সিটে দাঁড়ানোর জন্য তর সইছে না হিরণের। ঘাটালে দাঁড়ালে উনি ৩-৪ লাখ ভোটে হারবেন।’’

এদিন বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর একশো পর্বের 'মন কি বাত' শোনানোর ব্যবস্থা করেছিল বিজেপি। মাদারপুর গ্রামে হিরণের সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস। চন্দ্রকোনা রোডের খড়িকাশুলি বুথে ছিলেন দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিশ্র, এসসি মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মদন রুইদাস। হুমগড়ে ছিলেন জেলা সহ সভাপতি শঙ্করকুমার গুছাইত। গড়বেতার আমলাগোড়ায় পথচারীদের গুড়, জল, বাতাসা খাওয়ান বিজেপি কর্মীরা। খড়্গপুর ও ঘাটাল মহকুমার ব্লকগুলিতেও 'মন কি বাত' শোনানোর আয়োজন করেছিল বিজেপি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy