প্রতীকী ছবি।
বদলি হয়ে গিয়েছেন পিনকন মামলার রায়দানকারী বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায়। মৌ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসেই চলছিল কুরবান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। বিচারকের বদলিতে মামলার রায়দান প্রক্রিয়ার গতি কমতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন নিহত কুরবানের পরিবার। যদিও পূর্বের একটি আবেদনের ভিত্তিতে কুরবান শা হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পূর্ব মেদিনীপুরের তিন নম্বর জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হওয়ায় অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। সাম্প্রতিক কালে অনেকগুলি মামলার রায়দান হয়েছে তাঁর মাধ্যমে। যার অন্যতম পিনকন আর্থিক প্রতারণা মামলা। মামলা দায়ের হওয়ার তিন বছরে মধ্যে রায়দান করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে অন্যত্র বদলি হয়েছেন বিচারক। বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর বদলি হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। বিচারক বদলি হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বহু চর্চিত কুরবান শা হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ার গতি নিয়ে সংশয়ে ছিলেন কুরবানের পরিবারের সদস্যরা। কুরবান শা হত্যা মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করতে কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছিলেন মামলার অভিযোগকারী জহর শা। তারই প্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট কুরবান শা হত্যা মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। যা আশা জাগিয়েছে কুরবানের পরিবারে।
কুরবানের দাদা আফজল শা বলেন, ‘‘বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই আমার ভাইয়ের খুনের মামলায় এক বছরের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উনি থাকলে ভাল হত। তবে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করি আদালত এই মামলার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত রায় দেবে।’’
শুক্রবার আদালতে কুরবান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ থাকলেও কোনও আসামীকেই হাজির করেনি মেদিনীপুর সংশোধনাগার। পর্যাপ্ত গাড়ি ও পুলিশ না পাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি বলে আদালতকে চিঠি দিয়ে জানান মেদিনীপুর জেল সুপার। কুরবান শা হত্যা মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করার নির্দেশের পাশাপাশি প্রয়োজনে শুনানির জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করতে বলা হয়েছে ট্রায়াল কোর্টকে। শুনানির জন্য কেউ আসতে না পারলে ভার্চুয়াল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এদিন হাইকোর্টের এই সংক্রান্ত নির্দেশ আসামী পক্ষের আইনজীবীদের পড়ে শোনান ভারপ্রাপ্ত বিচারক আশিস গুপ্তা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন যাতে সমস্ত আসামীকে আদালতে হাজির করানো হয় সে জন্য মেদিনীপুর জেল সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সরকারি আইনজীবী আব্দুল মোহিত অভিযোগ করেন, ‘‘বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায় বদলি হয়ে যাওয়ায় জেল কর্তৃপক্ষকে আসামীরা প্রভাবিত করেছে। তাই এদিন তাদের আদালতে আনা হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট মামলার শুনানি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী দ্রুত মামলার শুনানি শেষ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy