প্রতীকী ছবি।
তিনজনেই একই স্কুলের ছাত্র। তবে বিভিন্ন ক্লাসের। গত কয়েক দিনে স্কুলেই তিন ছাত্রের কারও ব্যাগে মিলল সিগারেট, কারও ব্যাগে গাঁজার কলকে আবার কারও ব্যাগে মদের বোতল। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে তিন ছাত্রেরই অভিভাবকদের এ বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের ছেলেমেয়েদের কাউন্সেলিং করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের বছর চোদ্দোর এক ছাত্র গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ। সুজয় মান্না নামে ওই ছাত্রের পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তার খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর নবম শ্রেণির এক ছাত্র প্রধান শিক্ষককে জানায়, সুজয়ের বিষয়ে তার কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষকে ঘর থেকে সে নিজের ক্লাসে আসে। তার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্কুলে ধরে আনা হয়। কেন সে স্কুল থেকে পালাচ্ছিল সে সব জানতে গিয়ে তার স্কুলব্যাগ থেকে গাঁজার কলকে পাওয়া যায় বলে স্কুল সূত্রে খবর। ওই ছাত্রে ব্যাগে গাঁজার কলকে পাওয়ার খবর স্কুলে জানাজানি হলে ভয়ে বাকি দুই ছাত্র নিজেরাই ব্যাগ থেকে সিগারেট ও মদের বোতল বের করে দেয় বলে শিক্ষকেরা জানান। এতে শোরগোল পড়ে স্কুলে। কী ভাবে তাদের কাছে ওই সব জিনিস এল তা সঠিক ভাবে বলতে না পারায় স্কুল কর্তৃপক্ষ মহিষাদল থানায় যোগাযোগ করেন। কিন্তু সব শুনে এবং এই ঘটনার সঙ্গে ছাত্র নিখোঁজের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মহিষাদল থানার পুলিশ সুতাহাটা থানায় যেতে বলে। কারণ, সেখানে নিখোঁজ সুজনের ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
তবে এই ঘটনার পর স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অনুমান এই তিন ছাত্র কোনও দুষ্ট চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি স্কুলের তরফে অভিযোগ, সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের মাদকের প্রভাব থেকে বাঁচাতে স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে সিগারেট, গুটখা এবং ৫০০ মিটারের মধ্যে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চালু করে ‘ব্লু লাইন’ টানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এই স্কুলের কাছেই দীর্ঘদিন ধরে নেশার ঠেক চলছে। স্কুলের তরফে যদিও এ বিষয়ে মহিষাদল থানায় কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরাও। তাঁদের আরও অভিযোগ, এলাকায় কোনও মদের ঠেক চলছে কি না তা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। তার জন্য অভিযোগ করতে হবে কেন? বিশেষ করে স্কুলের চারপাশে দীর্ঘদিন ধরে এ সব চললও পুলিশ কেন চুপচাপ রয়েছে।
তবে ওই তিন ছাত্রকে কোনও শাস্তি না দিয়ে তাদের কাউন্সেলিং-এর উপরেই জোর দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই তিনজনের অভিভাবকদের এ বিষয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি সেই পরামর্শও দেওয়া হবে বলে তাঁরা জানান। সেই সঙ্গে তাঁদের আশঙ্কা নিখোঁজ ছাত্রও এরকম কোনও চক্রের শিকার।
ছাত্রদের এ ধরনের আচরণ নিয়ে প্রাক্তন অধ্যাপক হরিপদ মাইতি জানান, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy