সুপার কম্পিউটার উদ্বোধনের পরে রাজ্যপাল। খড়্গপুর আইআইটিতে। ছবি: কিংশুক আইচ
প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে এসেছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তবে সেই মঞ্চে রাজ্যপালের বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই থাকল প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি। স্বাধীনতাপ্রাপ্তির আবেগে ভেসে ‘আজাদির অমৃত মহোৎসবে’র ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি। সঙ্গে জুড়ে গেল মেদিনীপুরের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস। অডিটোরিয়ামে যখন রাজ্যপাল এসব বলছেন তখন গেটের বাইরে চলা বিক্ষোভে উঠল আইআইটিতে গেরুয়াকরণের অভিযোগ!
রবিবার খড়্গপুর আইআইটিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সুপারকম্পিউটার ব্যবস্থার উদ্বোধনে এ দিন এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দেশে তৃতীয় আইআইটির এই ব্যবস্থা জাতীয় ‘সুপার কম্পিউটিং মিশনে’র অধীনে গড়ে তোলা হয়েছে। আইআইটির নিজস্ব হেলিপ্যাড ময়দানে এ দিন কপ্টারেই পৌঁছন রাজ্যপাল। নেতাজি অডিটোরিয়ামে প্রাক্তনীদের সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। ১৯৬৭ সালের প্রাক্তনী বিনোদ গুপ্তকে ডিএসসি, ১৯৬৮-র অশোককুমার দে সরকারকে লাইফ ফেলো ও ১৯৬৩-র প্রাক্তনী কল্যাণ চক্রবর্তীকে ডিস্টিংগুইশড অ্যালামনি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
ওই মঞ্চেই ১৩ মিনিটের বক্তৃতায় রাজ্যপাল বলেন, “শিক্ষা, উদ্ভাবন, গবেষণা এবং উন্নয়নে দেশ উচ্চশিখরে পৌঁছচ্ছে। আমি যখন ১৯৮৯ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম তখন বছরে ৫০টি টেলিফোন সংযোগ, ৫০টি গ্যাস দিতে পারতাম। মনে হত বিশাল বড় ক্ষমতা ছিল আমার হাতে। আর এখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৮০মিলিয়ন মানুষকে তা বিনামূল্যে দিচ্ছে।” করোনার প্রসঙ্গেও তাঁর পর্যবেক্ষণ, “আমেরিকা, লন্ডনের পরিকাঠামো উন্নত সত্ত্বেও কী হয়েছিল! অথচ এই দেশ দক্ষতার সঙ্গে এই যুদ্ধ মোকাবিলা করেছে। ৯০০ মিলিয়ন মানুষকে দেড় বছর ধরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাইয়েছে।”
দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের প্রশংসা করে রাজ্যপালের আরও সংযোজন, “৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘আজাদির অমৃত মহোৎসব’ একটা সুযোগ আমাদের আসল নায়কদের জানার। এই স্বাধীনতা আন্দোলন দীর্ঘদিন আবৃত ছিল।” উল্লেখ্য, মেদিনীপুরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, খড়্গপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদীও মেদিনীপুরের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতিচারণনায় ফিরেছিলেন। এ দিন রাজ্যপালও একই সুরে বলেন, “ভাবা যায় ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধা থানার বাইরে গুলির সম্মুখীন হয়েছিলেন! ২০বছরের ক্ষুদিরাম বসু শহিদ হয়েছিলেন। বিরসা-মুন্ডার কথাও ভাবতে হবে। এটাই সময় এই ইতিহাস জানার।”
রাজ্যপালের এই বক্তব্যের সময়ই আইআইটির গেটের বাইরে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখায় এআইএসএফ। এই বাম ছাত্র সংগঠনটি ‘রাজ্যপাল গো-ব্যাক’ স্লোগানও তোলে। সংগঠনের রাজ্য সহ-সভানেত্রী ববিতা সাহা বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক মেরুকরণ আমরা মানছি না। নতুন হাসপাতালের নাম বদলে কেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম আগে দেওয়া হল তার জবাব চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy