পাঁশকুড়া দেব। নিজস্ব চিত্র।
বিরোধী দলনেতার জেলায় খারাপ ফলের জন্য দলীয় পদাধিকারীরা কোপের মুখে পড়তে পারেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁশকুড়ায় বৈঠকে এসে ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারীও (দেব) সোমবার দিলেন সেই ইঙ্গিত। সাংগঠনিক রদবদলের ওই ইঙ্গিতের পাশাপাশি দেবের গলায় এ দিন শোনা গিয়ছে প্রাক্তন এবং পুরনো কর্মীদের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনার বার্তা। ছিল দলের মধ্যে ‘গ্রুপবাজি’ বন্ধ করার কড়া নির্দেশও।
পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা এলাকাটি ঘাটাল লোকসভার অধীন। এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল সাংসদ দেব ঘাটালে জয়ী হলেও পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভায় তেমন ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল। যার একটা বড় কারণ হিসাবে উঠে এসেছে দলের অন্দরের কোন্দল।এমন আবহে সোমবার বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ কেশাপাটে একটি গেস্ট হাউসে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেব আসেন। সেখানে পাঁশকুড়ার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন।
দেব বৈঠকে বলেন, ‘‘এবার ভোটে আমি পাঁশকুড়ায় সব থেকে বেশি সময় দিয়েছি। তবুও পাঁশকুড়ায় আমি ১৭৬টি ভোটে হেরেছি। ভোটের আগে আমি জানতাম এখানে নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। আমি অর্ডার দিচ্ছি না। তবে গ্রুপিজ়ম বন্ধ করতে হবে। এ আমার লোক। ও ওর লোক। এসব বন্ধ করতে হবে। পুরনো কর্মীদের বসিয়ে রাখব, এটা চলবে না। ব্লকের বড় বড় নেতা যাঁরা রয়েছেন সবাইকে নিয়ে চলুন। সবাইকে সম্মান দিন।’’
গত ২০ মে পাঁশকুড়ায় ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবকে পাঁশকুড়ায় দলের কাজকর্ম দেখার কথা বলেছিলেন। তৃতীয়বার সাংসদ হওয়ার পর এ দিন প্রথম পাঁশকুড়ায় এসে দেব কোন্দল মেটার পাশাপাশি রদবদলেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের ফলাফল হাতে পেয়ে গিয়েছি। এবার আমরা বুঝে গিয়েছি কার কত ক্ষমতা। বলছি না সবাইকে বাদ দিতে। কিন্তু আমাদের নিজেদের একটা ভাবনা চিন্তা করার সময় এসেছে, যেভাবে কাজটা হয়েছে সেভাবে কী আদৌ চলবে? না কি আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হবে?’’ পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় বলেন, ‘‘সংগঠনকে চাঙ্গা করতে দল যাকে দায়িত্ব দেবে, আমরা মেনে নেব। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy