এখনও ইলিশের আকাল দিঘায়। ফাইল চিত্র।
চাহিদার তুলনায় জোগান নগণ্য, তাই এ বার মধ্যবিত্তদের ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়েছে দিঘার ইলিশের দাম। দিঘার পাইকারি বাজারে যে দামে ইলিশ বিকোচ্ছে তা খুচরো বাজারে এসে মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেই জানিয়েছে ‘দিঘা ফিশারম্যান এন্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’।
আগামী দিনে দিঘার সমুদ্রে ইলিশের দেখা না মিললে এই দাম কমার বিশেষ আশা নেই বলেই সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি নবকুমার পয়ড়্যা বুধবার বলেন, “এই মুহূর্তে দিঘার পাইকারি বাজারে দেড় থেকে দু’কিলোগ্রাম ওজনের ইলিশের দর যাচ্ছে ১,৯০০ টাকা থেকে ২,১০০ টাকা। আর ১ থেকে দেড় কিলোগ্রামের ইলিশের পাইকারি দাম ১,৪০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা।’’ তাঁর দাবী, আমদানি হওয়া মাছের আকার কিছুটা বড় হলেও চাহিদার তুলনায় তা একেবারেই নগণ্য।
নবকুমারের কথায়, ‘‘বাজারের চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক দিন যেখানে ১০০ টন ইলিশের প্রয়োজন সেখানে দিনে দেড় থেকে দু’টন ইলিশ আমদানি হচ্ছে দিঘার বাজারে। কোনও দিন পাঁচ টন পর্যন্ত ইলিশ উঠছে দিঘার মৎস্যজীবিদের জালে। তার বেশি নয়।’’
‘দিঘা ফিশারম্যান এন্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রের খবর, ‘‘প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা হয় সমুদ্র থেকে। কিন্তু এ বছর মাত্র এক দিন প্রায় ২০ টন ইলিশ এসেছিল দিঘায়। কিন্তু তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ইলিশের আমদানি ‘হতাশাজনক’।
নবকুমার বলেন, ‘‘২০১৬ সালে শেষ বার বিপুল পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়েছিল দিঘার মৎস্যজীবীদের জালে। তারপর থেকে ইলিশের আকাল অব্যাহত। গত বছরও কিছু পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়লেও এ বার তারও দেখা মিলছে না। ফলে আগামী দিনে দিঘার ইলিশের দাম বিশেষ কমবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের পড়শি জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অবশ্য ইলিশ-চিত্র চলতি সপ্তাহ থেকে কিছুটা বদলেছে। কয়েক দিন ধরে পূবালি বাতাস ও ঝিরঝিরে বৃষ্টির জেরে অবশ্য সুন্দরবন উপকূল ফের ইলিশের ঝাঁকের দেখা মিলছে। সোমবার থেকে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ-সহ ওই জেলার বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আসতে শুরু করেছে ইলিশ-বোঝাই ট্রলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy