Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
WB Municipal Election

WB municipal election 2022: ধৃত প্রাক্তন বিধায়কের জামাই, জল্পনা

পুলিশ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে ঘাটাল শহরের কুশপাতার এক মহিলা ঘাটাল থানায় শঙ্করের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করেন।

অভিজিৎ মাল।

অভিজিৎ মাল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:০০
Share: Save:

প্রতারণা মামলায় নাম ছিল ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করল তাঁর জামাইকে। সামনেই পুরভোট। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ঘাটাল মহকুমায়। এই পরিস্থিতিতে শঙ্করের ‘ভূমিকা’ নিয়েও নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা।

পুলিশ সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে ঘাটাল শহরের কুশপাতার এক মহিলা ঘাটাল থানায় শঙ্করের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করেন। লিখিত অভিযোগে ওই মহিলা জানান, ছেলেকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে ২০১৮ সালে শঙ্কর দোলই তাঁর স্বামীর কাছ থেকে মোট দশ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। আট লক্ষ টাকা নগদ এবং দু’লক্ষ টাকার চেক ছিল। প্রতিশ্রুতি দিলেও চাকরি করে দিতে পারেননি শঙ্কর। টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দিচ্ছিলেন। জানুয়ারি মাসে বাড়িতেই তাঁর স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তিনি ভূমি দফতরের এক প্রাক্তন আধিকারিক ছিলেন। এরপরেই শঙ্করের বিরুদ্ধে প্রতারণা, হুমকি ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করেন ওই মহিলা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চাকরি দেওয়ার নাম করে নেওয়া চেকটি ভাঙানো হয়েছিল শঙ্করের জামাইয়ের অ্যাকাউন্টে। এরপরেই সোমবার শঙ্করের জামাই অভিজিৎ মালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ঘাটালের একটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মী। মঙ্গলবার ধৃতকে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই ঘাটাল, খড়ারে ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, সেই অসন্তোষের পেছনে উস্কানির অভিযোগ উঠেছিল শঙ্করের বিরুদ্ধে। ঘাটাল ও খড়ারে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল শঙ্করের। বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর থেেকই দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠছিল প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে। ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারীর (দেব) অনুগামীদের নানা রকম ভাবে ‘অপদস্থ’ করার ঘটনাতেও শঙ্করের নাম জড়িয়ে ছিল। গুজরাতে এক সোনা প্রতারণা মামলায় সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্নার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। খোঁজখবর করে জেলা নেতৃত্ব জানতে পারেন, সেই ঘটনায় অভিযোগকারীর সঙ্গে শঙ্করের সম্পর্ক আছে। এরপরেই শঙ্করের বিরুদ্ধে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দলীয় ভাবে তদন্ত শুরু করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবাও হচ্ছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা।

শঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। হোয়াটস অ্যাপের উত্তর মেলেনি। এই গ্রেফতার প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিকাশ কর বলেন, “এটা পুরোপুরি প্রশাসনিক বিষয়। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।” একই সঙ্গে তিনি জুড়েছেন, ‘‘পুরসভার ভোটে এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy